৬.৭১ সীমালঙ্ঘন করা নিকৃষ্ট জাতি বেঁচে থাকবে

 হঠাৎ আল্লাহ তাআলা এক হাওয়া চালাবেন। এই হাওয়া প্রত্যেক মুমিনের রূহ কবয করে নিয়ে যাবে। বাকী কেবল দুষ্টু লোকেরা থেকে যাবে। এরা গাধার মত নির্লজ্জভাবে নারী সঙ্গমে লিপ্ত হবে। এদের উপরই কিয়ামত সংঘটিত হবে। (হাদিস বড় হওয়ায় প্রয়োজনীয় অংশ)      -       (সহীহ, সহিহাহ ৪৮১; তাখরিজ ফাযায়েলুশশাম ২৫; মুসলিম; সুনান আত-তিরমিজী, ইসঃ ফাঃ ২২৪৩ [আল মাদানী প্রকাশনী ২২৪০])

কিয়ামত যাদের উপর হবে তারা হবে সবচেয়ে নিকৃষ্ট জাতি। এরা অহংকারবশত ঈমান আনয়ন করেনি। এদের মধ্যে বিন্দু মাত্রও ঈমান খুঁজে পাওয়া যায়নি যার কারণে এদের জীবন সেই বাতাসে কবজ করা হয়নি। এরা আস্তে আস্তে চতুষ্পদ জন্তুর ন্যায় হয়ে যাবে। আর এরা দিন দিন সীমালঙ্ঘন করতে করতে তা চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাবে।

আবদুল্লাহ ইবনু মাউদ (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ বলেছেন, নিকৃষ্ট মানুষের ওপরই কিয়ামত সংঘটিত হবে।
-       (সহীহ, সহীহুল মুসলিম ১৭৬-(১৯২৪); মিশকাত হাঃ একাঃ ৫৫১৭; সিলসিলাতুস সহীহাহ ১১০৮; সহীহ ইবনু হিব্বান ৬৮৩৬; আল মুসতাদরাক লিল হাকিম ৮৪০৯)

আলী (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিশ্চয়ই নিকৃষ্ট মানব হলো ঐসমস্ত লোক, যাদের জীবিত অবস্থায় কিয়ামত তাদেরকে পেল।
-       (সহীহ, আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ, পথিক প্রকাঃ ১৮০৯)

ইবরাহীম ইবনে আবু আবলা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার নিকট হাদীস পৌঁছেছে যে, নিঃসন্দেহে কিয়ামত এমন কিছু লোকের উপর সংঘটিত হবে, যাদের জ্ঞান হবে চড়ুই পাখির জ্ঞানের ন্যায়।
-       (যঈফ, আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ১৩৬)

আবু হুরাইরা (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ঐসময় পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না মানুষ রাস্তায় বা পথে-ঘাটে যৌনকর্ম করবে, যেমন চতুস্পদ জন্তু করে। তখন পুরুষেরা পুরুষের থেকে, মহিলারা মহিলাদের থেকে অমুক্ষাপেক্ষী হবে। তোমরা কি জান, তাসাহুক কি? তারা বলল, না। রসূল বললেন, নারীরা নারীদের সঙ্গে যৌনকর্ম করবে। অতঃপর সে তাকে হত্যা করবে।
-       (সহীহ, আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ, পথিক প্রকাঃ ১৭৯৮)

আবু উমামা ইবনু সাহল (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রা:) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, ঐসময় পর্যন্ত কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না মানুষ রাস্তা-ঘাটে গাধার যৌনকর্মের ন্যায় যৌনকর্ম করবে।
-       (সহীহ, আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ, পথিক প্রকাঃ ১৮০৩)

আব্দুল্লাহ (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মন্দ মানুষের উপর কিয়ামত সংঘটিত হবে। যারা সৎ কাজে আদেশ দিবে না এবং অসৎ কাজে নিষেধ করবে না। তারা গাধার ন্যায় একে অপরকে ছেড়ে চলে যাবে। একজন পুরুষ একজন মহিলার হাত ধরবে, অতঃপর তার সঙ্গে নির্জন স্থানে সময় কাটাবে। অতঃপর তার থেকে তার প্রয়োজন পূরণ করবে (যিনা করবে)। অতঃপর তাদের (তার সঙ্গীদের) নিকট ফিরে যাবে। তারা তার প্রতি তাকিয়ে হাসতে থাকবে। আর সেও তাদের প্রতি তাকিয়ে হাসতে থাকবে।
-       (মাওকুফ, সহীহ, আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ, পথিক প্রকাঃ ১৮৩৬)

শয়তানের আহবানে তারা প্রতিমা পূজাতে লিপ্ত হবে

আবদুল্লাহ (রা:) বলেন, আমি রসূলুল্লাহ কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, তখন খারাপ লোকগুলো পৃথিবীতে অবশিষ্ট থাকবে। দ্রুতগামী পাখী এবং জ্ঞানশূন্য হিংস্রপ্রাণীর ন্যায় তাদের স্বভাব হবে। তারা কল্যাণকে কল্যাণ বলে জানবে না এবং অকল্যাণকে অকল্যাণ বলে মনে করবে না। এ সময় শাইতান (শয়তান) এক আকৃতিতে তাদের কাছে এসে বলবে, তোমরা কি আহবানে সাড়া দিবে না? তারা বলবে, আপনি আমাদেরকে কোন বিষয়ের আদেশ করছেন? তখন সে তাদেরকে মূর্তি পূজার নির্দেশ দিবে। এমতাবস্থায়ও তাদের জীবনোপকরণে প্রশস্ততা থাকবে এবং তারা স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন-যাপন করবে। তখনই শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে। (সংক্ষিপ্ত)
-       (সহীহ, সহীহুল মুসলিম হাঃ একাঃ ৭২৭১-(১১৬/২৯৪০) [ইঃ ফাঃ ৭১১৪, ইঃ সেঃ ৭১৬৮]; মুসনাদে আহমাদ ৬৫১৯; রিয়াযুস স্বা-লিহীন তাঃ পাঃ ৩/১৮১৯ [আন্তঃ ১৮১০])

কিয়ামতের পূর্ব মুহূর্তে পৃথিবীবাসীর চারিত্রিক অধঃপতনের কথা বর্ণনা করে নবী বলেনঃ

ঈসা (আঃ) এর আগমণের পরে মুমিনদের অবস্থা খুব ভালভাবেই অতিবাহিত হতে থাকবে। (তার মৃত্যুর পর) এমন সময় আল্লাহ তাআলা সুন্দর একটি বাতাস প্রেরণ করবেন। বাতাসটি প্রত্যেক মুমিন-মুসলিমের বগলের নীচে প্রবেশ করবে। এতে তাঁরা মৃত্যু বরণ করবে। শুধু দুশ্চরিত্রবান পাপীষ্ঠরাই বেঁচে থাকবে। গাধা যেমন গাধীর সাথে প্রকাশ্যে যৌনকর্মে লিপ্ত হয় তারাও অনুরূপভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষের চোখের সামনে রাস্তার মাঝখানে জেনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হবে। এই প্রকার নিকৃষ্ট লোকদের উপর কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হবে।
-       (সহীহ মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ফিতান)

মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহঃ) .... আনাস (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ বলেছেনঃ কিয়ামত সংঘটিত হবে না যে পর্যন্ত এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে যে, পৃথিবীতে আল্লাহ আল্লাহ বলার মতও কেউ নাই।
-       (সহীহ, সুনান আত তিরমিজী (আল মাদানী প্রকাঃ) ২২০৭ [ইঃ ফাঃ ২২১০]; সহিহাহ ৩০১৬; মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল ঈমান)

আবূ কামিল আল জাহদারী, আবু মান যায়দ ইবনু ইয়াযীদ আর রাকাশী (রহঃ) ..... আয়িশাহ (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ কে বলতে শুনেছি, রাত্র ও দিন শেষ হবে না, যতক্ষণ না লাত ও উযযা দেবতার পূজা আবার শুরু করা হয়। এ কথা শুনে আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল ! পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ নাযিল করেছেন তিনিই তার রসূলকে পাঠিয়েছেন হিদায়াত ও সত্য দ্বীনসহ, সকল দ্বীনের উপর বিজয়ী করার জন্য, যদিও মুশরিকরা তা পছন্দ করে না"- (সূরা আত তওবা ৯:৩৩ ও আস-সাফ ২১:৯)। এ আয়াত নাযিলের পর আমি তো মনে করছিলাম যে, এ প্রতিশ্রুতি অবশ্যই পূর্ণ করা হবে। রসূলুল্লাহ বললেন, তা অবশ্যই হবে। তবে যতদিন আল্লাহ ইচ্ছা করবেন ততদিন পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে। অতঃপর তিনি এক মনোরম বাতাস প্রেরণ করবেন। ফলে যাদের অন্তরে সরিষার দানা পরিমাণ ঈমান আছে তাদের প্রত্যেকেই মৃত্যুবরণ করবে। পরিশেষে যাদের মাঝে কোন প্রকার (ঈমান) কল্যাণ নেই তারাই শুধু বেঁচে থাকবে। অতঃপর তারা আবার পিতৃ-পুরুষদের ধর্মের (শিরকের) দিকে ফিরে যাবে।
-       (সহীহ, সহীহুল মুসলিম হাঃ একাঃ ৭১৯১-(৫২/২৯০৭) [ইঃ ফাঃ ৭০৩৫; ইঃ সেঃ ৭০৯২]; সুনান তিরমিযী ২২২৮; মিশকাত হাঃ একাঃ ৫৫১৯; সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ২৪৪১; মুসনাদে আহমাদ ৮৩৪৬; আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৯০৯১)

আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকজন ঈসা আলাইহিস সালামের সঙ্গে সুখ-শান্তিতে বাস করার কিছু সময় (তার মৃত্যুর কিছু) পর ডান দিক থেকে একটি বাতাস আসবে। বাতাসের স্পর্শ রেশমের স্পর্শের ন্যায় হবে। বাতাসটা মিশকের ন্যায় হবে। তা প্রত্যেক মুসলমানের রুহ কবজ করে নিবে। অতঃপর লোকজন বলবে, আমরা কতদিন এই দ্বীনের উপর থাকবো? অতঃপর তারা তাদের পূর্বপুরুষের ধর্মে ফিরে যাবে। এমনকি তারা তাদের পূর্বপুরুষরা যে জিনিসের ইবাদাত করতো, সে সকল জিনিসের ইবাদাত করবে। একথার ইঙ্গিতই আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহুর এ বক্তব্য, আবু হুরায়রা (রা:) বলেছিলেন, কেমন যেন আমি (তাদেরকে সাদৃশ্য পাই) ওয়াদ গোত্রের নিতম্ব মোটা মহিলাদের সঙ্গে, যারা বিশৃঙ্খলা করেছে (তারা মূর্তির সামনে নাচবে) এবং যুল খালাসা (একটি মূর্তি)-এর ইবাদাত করবে।
-       (সহীহ, আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ, পথিক প্রকাঃ ১৬৬২)

আবূ হুরায়রাহ্ (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ বলেছেন: ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত যুল খলাসাহ্ মূর্তির নিকট দাওস গোত্রের মহিলাদের নিতম্ব দোলায়িত না হবে। দাওস গোত্রের একটি মূর্তি ছিল, জাহিলী যুগে তারা এটার উপাসনা করত।
-       (সহীহ, সহীহুল বুখারী ৭১১৬; সহীহুল মুসলিম ৫১-(২৯০৬); মিশকাত হাঃ একাঃ ৫৫১৮; সহীহুল জামি ৭৪১০; মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ্ ৩৭২৪৬; মুসনাদে বাযযার ৭৭৭৩; মুসনাদে আহমাদ ৭৬৬৩; সহীহ ইবনু হিব্বান ৬৭৪৯)

আবু হুরাইরা (রা:) থেকে বর্ণিত, রসূল সাল্লাল্ল আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কিয়ামত সংগঠিত হবে না, এমনকি দাউস গোত্রের নিতম্ব মোটা মহিলারা যুলখালাসের সামনে নৃত্য করবে। আর  যুলখালাস একটি মূর্তি ছিল, যা জাহিলিয়্যাতের সময় তাবালা নামক স্থানে দাউস গোত্র ইবাদাত করতো। মুয়াম্মার বলেছেন, ইমাম যুহরি রাহিমাহুল্লাহ ব্যতীত অন্যান্যরা বলেছেন যে, ঐ পাথরের উপর একটি ঘর আজও আছে।
-       (সহীহ, আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ, পথিক প্রকাঃ ১৬৭০; সহীহ বুখারী ৬৬৯৯; সহিহ মুসলিম ২৯০৬; মুসনাদে আহমাদ ৭৬২০; মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক ২০৭৯৫)

আবূ আওয়ানা তাঁর বর্ণনাসূত্রে আবূ মূসা আশ্আরী (রা:) থেকে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, তিনি আবদুল্লাহকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, নবী যে যুগকে হারজ-এর যুগ বলেছেন সে যুগ সম্পর্কে আপনি কিছু জানেন কি? এর উত্তরে তিনি আগে উল্লেখিত হাদীসটি বর্ণনা করেন।

ইবনু মাসঊদ (রা:) বলেন, আমি নবী -কে বলতে শুনেছি যে, ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) যাদের জীবনকালে সংঘটিত হবে তারাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট লোক। *
-       (সহীহুল বুখারী তাঃ পাঃ ৭০৬৭ [আঃ প্রঃ ৬৫৭৪; ইসঃ ফাঃ ৬৫৮৭ প্রথমাংশ]; সহীহুল মুসলিম ৫২/২৬, হাঃ ২৯৪৯)

    -       * কিয়ামত শুধুমাত্র মন্দ ও খারাপ লোকদের উপর সংঘটিত হবে। কিন্তু (لا تزال طائفة من أمتي على الحق حتى تقوم الساعة) হাদীস থেকে বুঝা যায় কিয়ামত পর্যন্ত মর্যাদাবান লোকরা থাকবে। তাহলে তাদের উপরেও কি সংঘটিত হবে? সুতরাং উভয়ের সমন্বয় হল, কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার প্রাক্কালে (শেষ সময়ে) আল্লাহ তাআলা হালকা বাতাস প্রেরণ করবেন এবং যাদের অন্তরে বিন্দু পরিমাণ ঈমান থাকবে ঐ বাতাস তাদের মৃত্যু ঘটাবে। ফলে কোন মুমিন মুসলিম আর অবশিষ্ট থাকবে না। অবশিষ্ট থাকবে শুধু মন্দ ও খারাপ লোক তথা কাফের ও মুশরিক। আর তখনই সংঘটিত হবে মহাপ্রলয়-কিয়ামত। এ সম্পর্কে ইমাম মুসলিম আবূ হুরায়রা হতে মারফু সূত্রে বর্ণনা করেন,
إن الله يبعث ريحا من اليمن الين من الحرير فلا تدع أحدا في قلبه مثقال ذرة من إيمان إلا قبضته

-   সহীহ মুসলিমেই দাজ্জাল, ঈসা (আঃ) ও ইয়াজুজ-মাজুজের ঘটনা সম্বলিত নাওয়াস ইবনু সাময়ানের দীর্ঘ হাদীসের শেষের দিকে এসেছে :
إذ بعث الله ريحا طبية فتقبض روح كل مؤمن ومسلم ويبقى شرار الناس يتهارجون تهارج الحمر فعليهم تقوم الساعة
-       এ ছাড়া সহীহ মুসলিম আরো বর্ণিত হয়েছে,   لا تقوم الساعة على أحد يقول الله الله
-       এই হাদীসটি মুসনাদে আহমাদে এসেছে অন্য শব্দে। যেমন : على أحد يقول لا إله إلا الله
-       উপরোক্ত হাদীসগুলোকে আরো শক্তিশালী করে আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদের এই হাদীস لا تقوم الساعة إلا على شرار الناس সুতরাং لا হাদীসটি পবিত্র বাতাস অবতরণের সময় প্রত্যেক মুমিন মুসলিমের মৃত্যু ঘটাবে। ফলে যখন খারাপ লোক ছাড়া কেউ অবশিষ্ট থাকবে না। তখনই হঠাৎ শুরু হবে কিয়ামত। (ফাতহুল বারী)


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ