৬.৬২ দাব্বাতুল আরদ্ (অদ্ভুত প্রাণী) এর আবির্ভাব

 দাব্বাতুল আরদ হচ্ছে ভূমিগর্ভ থেকে বেরিয়ে আসা এক প্রাণী যে মানুষের সাথে কথা বলবে।

কুরআনে বলা আছেঃ

(٨٢) وَإِذَا وَقَعَ الْقَوْلُ عَلَيْهِمْ أَخْرَجْنَا لَهُمْ دَآبَّةً مِّنَ الْأَرْضِ تُكَلِّمُهُمْ أَنَّ النَّاسَ كَانُوا بِـَٔايٰتِنَا لَا يُوقِنُونَ.

যখন ঘোষিত শাস্তি তাদের নিকট আসবে তখন আমি মাটির ভেতর হতে বের করব এক জীব, যা তাদের সঙ্গে কথা বলবে, এজন্য যে, মানুষ আমার নিদর্শনে অবিশ্বাসী। (সূরা নামল, আয়াতঃ ৮২)

দাব্বাতুল আরদ বের হওয়া কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার ১০টি বড় আলামতের একটি।

আল্লাহ তায়ালার বাণী- যখন ঘোষিত শাস্তি তাদের নিকট আসবে, তখন আমি মৃত্তিকাগর্ভ থেকে একটি জীব বের করব। যা তাদের সঙ্গে কথা বলবে। (সুরা নামল)-এর ব্যাপারে ইবনু উমর (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন তারা সৎ কাজে আদেশ দিবে না এবং যখন তারা অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করবে না।
-       (যঈফ, আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ, পথিক প্রকাঃ ১৮৫৮)

হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (রা:) বলেন, রসূল বলেছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কিয়ামত হবে যতক্ষণ না মাটির নিচের প্রাণীর (দাব্বাতুল আরদ) উত্থান না হচ্ছে।
-       (আস-সুনানু কিতাবুল ফিরদাউস ১১৮২)

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা:) বলেন, রসূল বলেন, অবশ্যই অবশ্যই কিয়ামতের পূর্বে ইয়াজুজ মাজুজ ও দাব্বাতুল আরদ এর প্রকাশ ঘটবে।
-       (আস-সুনানু কিতাবুল ফিরদাউস ৮১৯)

উবায়দুল্লাহ ইবনু মুআয আনবারী (রহঃ) ... আবূ সারীহা হুযায়ফা ইবনু আসীদ (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী একটি কামরার ভেতর ছিলেন। তখন আমরা তাঁর থেকে একটু নীচু স্থানে ছিলাম। তখন তিনি আমাদের দিকে দৃষ্টি দিয়ে বললেন, তোমরা কি আলোচনা করছিলে। আমরা বললাম, কিয়ামত সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। এ কথা শুনে তিনি বললেনঃ কিয়ামত কায়িম হবে না যতক্ষন না দশটি নিদর্শন প্রকাশিত হবে। পূর্ব দিগন্তে ভূমি ধ্বস, পশ্চিম অঞ্চলে ভূমি ধ্বস, আরব উপদ্বীপে ভূমি ধ্বস, ধুম্র, দাজ্জাল, দাব্বাতুল আরদ, ইয়াজুজ-মা-জুজ, পশ্চিম দিক হতে সূর্য উদিত হওয়া এবং সর্বশেষ আদন এর গর্ত হতে অগ্নি প্রকাশিত হওয়া যা লোকদেরকে তাড়িয়ে নিয়ে যাবে। শুবা (রহঃ) বলেন, ... আবু সারীহা থেকে ... অনুরূপ। তবে এতে নবী উল্লেখ করেন, দশম নিদর্শন হিসাবে একজন ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর অবতরণের কথা বলেছেন, অন্যজন বলেছেন যে, এমন ঝঞ্ঝা বায়ু (প্রবাহিত হবে), যা লোকদেরকে সমুদ্রের মধ্যে নিক্ষেপ করবে।
-       (সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) | অধ্যায়ঃ ৫৫/ ফিতনা সমূহ ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী (كتاب الفتن وأشراط الساعة) | হাদিস নাম্বার: ৭০২২)

উমায়্যা ইবনু বিসতাম (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ বলেনঃ ছয়টি ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পূর্বে তোমরা নেক আমল করতে আরম্ভ কর। তা হল দাজ্জাল, ধোঁয়া, দাব্বাতুল আরদ, পশ্চিম দিক হতে সূর্য উদিত হওয়া, ব্যাপক বিষয় (কিয়ামত) এবং খাস বিষয় (ব্যক্তির মৃত্যু)।
-       (গ্রন্থ: সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) | অধ্যায়ঃ ৫৫/ ফিতনা সমূহ ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী (كتاب الفتن وأشراط الساعة) | হাদিস নাম্বার: ৭১৩১/প্রায় একই রকম বর্ণনা ৭১৩০)

আবু হুরায়রাহ (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ বলেছেন: তিনটি নিদর্শন যখন প্রকাশ পাবে তখন আর কারো ঈমান ও আমল তার কোন কাজে আসবে না, যদি তার পূর্বে ঈমান এনে না থাকে অথবা ঈমানের সাথে আমল সঞ্চয় না করে থাকে। আর তা হলো পশ্চিমাকাশ থেকে সূর্য উদিত হওয়া, দাজ্জালের আবির্ভাব এবং দাব্বাতুল আরদ বের হওয়া।
-       (সহীহ, মিশকাত হাঃ একাঃ ৫৪৬৭; সহীহুল মুসলিম ২৪৯-(২৫৮); সুনান তিরমিযী ৩০৭২; মুসনাদে আহমাদ ৯৭৫; সহীহুল জামি' ৩০২৩)

মুসাদ্দাদ (রহঃ) .... হুযায়ফা ইব্‌ন উসায়দ গিফারী (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদিন আমরা রসূলুল্লাহ্‌ -এর ঘরের ছায়ায় বসে ছিলাম। আমরা কিয়ামত সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। এ সময় আমাদের কন্ঠস্বর চড়ে গেলে, তখন রাসুসূল্লাহ্‌ বলেনঃ কিয়ামত কখনো হবে না, অথবা কিয়ামত ততক্ষণ কায়েম হবে না, যতক্ষণ না তার পূর্বে দশটি আলামত প্রকাশ পায়। তা হলোঃ ১। সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হবে; ২। দাববাতুল আরদ বের হবে; ৩। ইয়াজুজ মাজুজ বের হবে; ৪। দাজ্জাল বের হবে; ৫। ঈসা ইব্‌ন মারয়াম আসমান থেকে অবতরণ করবে; ৬। ধোঁয়া প্রকাশ পাবে; ৭। তিনটি স্থান ধ্বসে যাবে-পশ্চিমে; ৮। পূর্বে; ৯। আরব উপদ্বীপ এবং ১০। সবশেষে ইয়েমেনের আদন প্রান্তর হতে আগুন বের হবে, যা লোকদের সিরিয়ার 'মাহ্‌শার' নামক স্থানের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাবে।
-       (সহীহ, সূনান আবু দাউদ ইসঃ ফাঃ ৪২৬০)

আবূ সারীহা হুযায়ফা ইবনে উসাইদ (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ তাঁর এক হুজরা থেকে আমাদের দিকে উঁকি মেরে তাকালেন। আমরা তখন কিয়ামত সম্পর্কে আলোচনা করছিলাম। তিনি বলেনঃ দশটি নিদর্শন (আলামত) প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত কিয়ামত হবে না। পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয়, মসীহ দাজ্জালের আবির্ভাব, ধোঁয়া নির্গত হওয়া, দাববাতুল আরদ প্রকাশ পাওয়া, ইয়াজূয-মাজূজের আবির্ভাব, ঈসা ইবনে মরিয়ম আলাইহিস সালামের (উর্দ্ধজগত থেকে) অবতরণ, তিনটি ভূমিধ্বস- প্রাচ্যদেশে একটি, পাশ্চাত্যে একটি এবং আরব উপদ্বীপে একটি, এডেনের নিম্নভূমি আবয়ান এর এক কূপ থেকে অগ্নুৎপাত হবে যা মানুষকে হাশরের ময়দানে হাঁকিয়ে নিয়ে যাবে। তারা রাতে নিদ্রা গেলে এই আগুন থেকে থাকবে এবং তারা চলতে থাকলে আগুনও তাদের অনুসরণ করবে (তারা দুপুরে বিশ্রাম নিলে, আগুনও তখন তাদের সাথে থেমে থাকবে)।
-       (সহীহুল মুসলিম ২৯০১/২৯৪১; সুনান আত তিরমিযী ২১৮৩; সুনানে ইবনে মাজাহ ৪০৫৫/৪০৬৯; আবূ দাউদ ৪৩১১; মুসনাদে আহমাদ ১৫৭৮, ১৭১০। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ)

ইয়াহইয়া ইবনু আইয়্যুব, কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ ও ইবনু হুজর (রহঃ) ..... আবু হুরাইরাহ (রা:) হতে বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ বলেনঃ ছয়টি ঘটনা সংঘটিত হওয়ার আগেই তোমরা নেক আমলে দ্রুততা অবলম্বন করো, তা হলো- (১) পশ্চিমাকাশ হতে সূর্যোদয় হওয়া, (২) ধোঁয়া উত্থিত হওয়া, (৩) দাজ্জাল আবির্ভাব হওয়া, (৪) দাব্বাহ, অদ্ভুত জন্তুর আত্মপ্রকাশ, (৫) খাস বিষয় [কারো ব্যক্তিগত মৃত্যু] ও (৬) আম বিষয়/সার্বজনিক বিষয় [কেয়ামত]।
-       (সহীহ, সহীহুল মুসলিম হাঃ একাঃ ৭২৮৭-(১২৮/২৯৪৭) [ইঃ ফাঃ ৭১৩০, ইঃ সেঃ ৭১৮২])

এটি কেয়ামতের একটি বড় আলামত এবং এটি যে ঘটবেই তা এই সকল সহীহ বর্ণনা থেকে জানা যায়।

ভ্রান্তি নিরসন

বিঃ দ্রঃ (১) দাব্বাতুল আরদ বা এই অদ্ভুত প্রাণী সম্পর্কে অনেক হাদিস এসেছে সহীহ সনদে। তবে এ নিয়ে কিছু মতবিরোধও হচ্ছে; মূলত এর কারণ হাদিস বর্ণনার জন্য। যেমন একটি হাদিসে দেখা গেছে যে, পশ্চিম আকাশে সূর্য ওঠাকে আগে বলা হয়েছে তারপর এই প্রাণী এর প্রকাশ এর কথা বলা হয়েছে। এতে কিছু আলেম মনে করেন যে এটি পশ্চিম আকাশে সূর্য ওঠার পরই প্রকাশ পাবেন। তবে তাদের এটা খেয়াল করা উচিত যে, সেই হাদিসে বলা আছে পশ্চিম আকাশে সূর্য এরপর সিরিয়ালভাবে বলা আছে। কিন্তু তা আদৌ সংঘটিত বা আলামত প্রকাশের সিরিয়াল হিসেবে ঠিক নয়। এভাবে তা নির্ণয় করা ঠিক নয়। কারণ একই বর্ণিত হাদিসেই পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয় এর আলামত টি শেষে আছে এবং মাঝেও আছে। (২। দাববাতুল আরদ বের হবে; ৩। ইয়াজুজ মাজুজ বের হবে; ৪। দাজ্জাল বের হবে; ৫। ঈসা ইব্‌ন মারয়াম আসমান থেকে অবতরণ করবে; ৬। ধোঁয়া প্রকাশ পাবে; ৭। তিনটি স্থান ধসে যাবে-পশ্চিমে; ৮। পূর্বে; ৯। আরব উপদ্বীপ এবং ১০। সবশেষে ইয়ামনের আদন প্রান্তর হতে আগুন বের হবে)

যদি আমরা ফিতনা ও কেয়ামতের আলামত সংক্রান্ত হাদিসগুলি দেখি তাতে এর ঠিক বিপরীত দেখা যায়। বা একটি আগে পিছে হবে এরকম পাওয়া যায়। যেমন দাজ্জাল আগে আসবে তারপর ঈসা (আঃ) তারপর তার জামানায় দাব্বাতুল আরদ প্রকাশ পাবে এবং তারপরে ইয়াজুজ ও মাজুজ সম্প্রদায়ও প্রকাশ পাবে।
-       (সুনানু ইবনু মাজাহ ৪০৭৯ ও ৪০৮১ সহীহ, মুসনাদে আহমাদ ৩/পৃষ্ঠাঃ ৭৭ হাসান সহীহ, আল ফিতান ওয়াল মালাহিম; পৃষ্ঠাঃ ২৪২-২৪৩/২৪৭-২৪৮, আন নিয়াহা ফিল ফিতান ওয়াল মালাহিম- ইবনু কাসির গ্রন্থের বাংলা অনুবাদ)

পশ্চিম আকাশে সূর্য ওঠা এর বর্ণনাতে বেশির ভাগ সময় এটিকে শেষেই বা মাঝে দেওয়া হয়েছে বা প্রথমে দেওয়া হয়েছে। এরকম হাদিসের বর্ণনা এর তারতম্য থাকার পরও এটাকে ঢালাও ভাবে কোনটির পর কোনটি হবে তা সাজানো সম্ভব না যদি অন্য হাদিসগুলোও বিশ্লেষণ না করা হয়। কিন্তু ঠিক এটাই অনেকে করছেন যা মোটেও ঠিক নয়।

একই বর্ণিত হাদিসে তারতম্য রয়েছে এই বর্ণনা এর- সুনানে ইবনু মাজাহ ৪০৪৫, সহীহ মুসলিম ৭৪৬৮, সহীহ মুসলিম ৭১৭৮ এবং এই বইতে দেওয়া উপরের হাদিসেগুলোতেও আলামত বর্ণনার সিরিয়ালে তারতম্য রয়েছে।

আর পশ্চিম আকাশে সূর্য ওঠার বিষয়টি বেশির ভাগ আলেমরাই ব্যক্ত করেছেন যে, এটি সর্বশেষে কেয়ামতের আলামত হবে এবং এরপর তাওবাহ এর দরজা বন্ধ হবে। কেয়ামতের আগে প্রত্যেক মুমিনদের জান একটি শীতল বাতাসের মাধ্যমে কবজ করার ব্যাপারে হাদিসে এসেছে। একজনও মুমিন ব্যক্তি বা আল্লাহকে ডাকা ব্যক্তি পৃথিবীতে থাকা অবস্থায় কিয়ামত সংঘটিত হবে না। আর তখন সব চেয়ে নিকৃষ্ট মানুষগুলোই জীবিত থাকবে যাদের উপর কিয়ামত সংঘটিত হবে। তারা পশ্চিম আকাশে সূর্য ওঠা দেখে সেদিন ঈমান আনবে, তবে তাদের ঈমান আর কোন কাজে লাগবে না। তবে কিছু হাদিসে এসেছে, ৩টি আলামত প্রকাশ পাওয়ার আগেই সব আমল করে নিতে বলেছে ও ঈমান আনতে বলেছে। দাজ্জাল, দাব্বাতুল আরদ ও পশ্চিম আকাশে সূর্যোদয়। এর ব্যাখ্যা রয়েছে যেমন- দাজ্জাল এর সময় ঈমান হারালে দাজ্জালের বাহিনী এর সাথে একসাথে ধ্বংস হতে হবে। আর সেই সময় ঈমানদাররাও ঈমান হারা হয়ে যাবে। তাই যারা আগে ঈমান আনে নি, সেই দাজ্জালের ফিতনাকালীন সময়ে তারা আবার ঈমান আনবে তা যুক্তিগতভাবে অসম্ভব। আর পরে ঈমান আনার সুযোগও আর পাওয়া যাবে না হয়তো। যেমন হাদিসে এসেছে-

আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত। নাবী বলেছেনঃ তিনটি বিষয় যখন প্রকাশিত হবে, ইতিপূর্বে যে ঈমান আনে নি (বা ঈমান অনুযায়ী নেক আমল করে নি) সে সময় ঈমান আনায় তার কোন উপকার হবে নাঃ

 لَمْ يَنْفَعْ نَفْسًا إِيمَانُهَا لَمْ تَكُنْ آمَنَتْ مِنْ قَبْلُ

 ...সেগুলো হচ্ছে- দাজ্জাল, দাব্বাতুল আরদ, পশ্চিমাকাশে সূর্যোদয়।
-       (সহীহ, মুসলিম ১/৯৫-৯৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৭২ [আল মাদানী প্রকাশনী])
-       আবু ঈসা বলেন হাদীসটি হাসান-সহীহ।

(২) আরেকটি বক্তব্য পাওয়া যায়-

(পশ্চিম আকাশে সূর্য উঠার কিছুক্ষণ পরই জমিন থেকে এই অদ্ভুত জানোয়ারটি বের হবে। তাওবার দরজা যে একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে- এ কথাটিকে চূড়ান্তভাবে প্রমাণ করার জন্য সে মুমিনদেরকে কাফির থেকে নির্দিষ্ট চিন্হের মাধ্যমে আলাদা করে ফেলবে। মু‘মিনের কপালে লিখে দেবে ‘মুমিন’ এবং কাফিরের কপালে লিখে দেবে ‘কাফির’।)

হাদিস থেকে জানা যায় ঈসা (আঃ) এর মৃত্যুর পর কিছুকাল পৃথিবীতে শান্তি বিরাজ করবে এবং মানুষ আস্তে আস্তে আবারো ঈমানহারা হবে এরপর মুমিনদের জান কবজ করা হবে। তো এরপরে শুধু নিকৃষ্টরা থাকবে। তো কখন এরকম কপালে লিখে দিবে? যদিও লিখে দেয় তা কি তাওবাহ এর দরজা বন্ধ হওয়ার পরেই হবে?

এই বক্তব্য দেওয়ার আগে জানা উচিত যে, তাওবাহ এর দরজা বন্ধ হবে পশ্চিম আকাশে সূর্য ওঠার সাথে সাথে। আর এরপরই কিয়ামত হবে ওই সকল নিকৃষ্টদের উপরই। তখন কোন ঈমানদার ব্যক্তি জীবিতই থাকবে না। তাহলে কিভাবে তাদের কপালে মুমিন লিখে দিবে? এরপর আর কোন এমন বর্ণনা পাওয়া যায় না যাতে এরকম ঘটবে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। তাই সহীহ বর্ণনাই শুধু গ্রহণযোগ্য যা সকল হাদিসের বর্ণনা এর সাথে অনুকূলে যায়। হাদিস মান থেকেও এটি জানা যায়-

আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) ....... আবূ হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ্ বলেছেনঃ দাববার আবির্ভাব হবে আর তার সাথে থাকবে সুলায়মান (আঃ)-এর আংটি দিয়ে কাফিরের নাকে মোহর অংকিত করে দিবে। এমনকি এক খাদ্যের খাঞ্চায় যখন তারা একত্রিত হবে তখন একজন বলতে পারবে যে, এ মুমিন আর সে কাফির।
-   (সূনান তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) | অধ্যায়ঃ ৫০/ কুরআন তাফসীর (كتاب تفسير القرآن عن رسول الله ) | হাদিস নাম্বার: ৩১৮৭)
-   যঈফ, যঈফা ১১০৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৮৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

আবূ হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ বলেনঃ একটি পশু আবির্ভূত হবে এবং তারা সাথে থাকবে দাউদ (আ)-এর পুত্র সুলায়মান (আ)-এর আংটি এবং মূসা ইবনে ইমরান (আ)-এর লাঠি। সে লাঠি দিয়ে মুমিন ব্যক্তির চেহারা উজ্জল করবে এবং আংটি দিয়ে কাফের ব্যক্তির নাকে চিহৃ এঁকে দিবে। শেষে মহল্লাবাসী জমায়েত হয়ে একজন বলবে, হে মুমিন এবং অপরজন বলবে, হে কাফের।
-       (যঈফ, সুনানে ইবনে মাজাহ | অধ্যায়ঃ ৩০/ কলহ-বিপর্যয় (كتاب الفتن) | হাদিস নাম্বার: ৪০৬৬)
-       (তিরমিযী ২১৮৭, আহমাদ ৭৮৭৭, ৯৯৮৮, যইফাহ ১৬০৮, যইফ আল-জামি' ২৪১৩। তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী ১. আলী বিন যায়দ বিন জাদআন সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। আহমাদ বিন হাম্বল ও ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইয়াবুব বিন শায়বাহ বলেন, তিনি সিকাহ সালিহ। আল-আজলী বলেন, কোন সমস্যা নেই। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪০৭০, ২০/৪৩৪ নং পৃষ্ঠা) ২. আওস বিন খালিদ সম্পর্কে আবুল হাসান ইবনুল কাত্তান বলেন, তার অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানা যায়না। আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তিনি কুফরী নয় এমন কওলী বা আমলী কোন ফিসক এর সাথে জড়িত। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি মাজহুল বা অপরিচিত। ইমাম যাহাবী বলেন, তার পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানা যায়না।)

৬.৬২.১ দাব্বাতুল আরদ্ এর পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য

দাব্বাতুল আরদ মাটি থেকে বের হবে তাই এটি এক ধরনের বিশেষ প্রাণী। যেমন কুরআনে বলা হয়েছে-

যখন ঘোষিত শাস্তি তাদের নিকট আসবে তখন আমি মাটির ভেতর হতে বের করব এক জীব, যা তাদের সঙ্গে কথা বলবে, এজন্য যে, মানুষ আমার নিদর্শনে অবিশ্বাসী। (সূরা নামল, ৮২)

এই প্রাণীর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিভিন্ন আলেমগণ বিভিন্ন মত দিয়েছেন। কেউ বলেছেন সালেহ (আঃ) এর উটনীর ছানা, কেউ বলেছেন দাজ্জালের হাদিসে বর্ণিত জাস্সাসা (গোয়েন্দা), কেউ কেউ বলেছেন, এটি হলো সেই সাপ যা পবিত্র কাবার দেয়ালে ছিল।

এগুলো আবার বিভিন্ন আলেম দ্বারাই ভুল ব্যাখ্যা বলে আখ্যায়িত হয়েছে। অর্থাৎ, তারাই এইসকল ব্যাখ্যাকে ভুল বলেছেন। আর এই ব্যাখ্যাগুলো আসলে ভুলই। তারাই এর কারণ বলেছেন যে, কোনো একটি মতের স্বপক্ষে সহীহ কোনো দলীল পাওয়া যায় না।

শেষ মত যেটি পাওয়া যায়, শাইখ আহমাদ শাকের মুসনাদে আহমাদের ব্যাখ্যায় বলেন, কোরআনের আয়াতে সুস্পষ্ট আরবি ভাষায় বলা আছে এটি হলো দাব্বাতুল আরদ। দাব্বা অর্থ অত্যন্ত সুস্পষ্ট। কোনো প্রকার ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই; বরং আমরা বিশ্বাস করি আখেরী জামানায় একটি অদ্ভুত ধরনের জন্তু বের হবে। সে মানুষের সাঙ্গে কথা বলবে। কোরআন ও সহীহ হাদিসে তার গুণাগুণ ও বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হয়েছে। আমরা তাতে বিশ্বাস করি। তবে আমরা সঠিক তথ্যটিই এখানে দেওয়া চেষ্টা করবো। ইলহামী ভবিষ্যৎবাণী কবিতাতে এই প্রানী এর কথা উল্লেখ রয়েছে। সেখানে খুব সুন্দর ব্যাখ্যা দেওয়া রয়েছে এর।

 

 

প্যারাঃ (৮৪)

সু-শৃঙ্খলময় শান্তি বিশ্বে,

করিবে বিরাজমান।

ছিয়াষট্টি তে দাব্বাতুল আরদ এর,

হইবে উত্থান।

ব্যাখ্যাঃ দাজ্জাল কে হত্যা করার পর, ঈসা (আঃ) পৃথিবী তে সুখশান্তি দ্বারা শাসন করতে থাকবে। এমন সময় ২০৬৬ সালে "দাব্বাতুল আরদ্" নামক একধরনের প্রানী জমিনের নিচ থেকে বের হয়ে আসবে। কুরআনের সুরা নামলের ৮২ নং আয়াতে এই প্রানীর কথা বলা আছে। আর হাদিছে বলা আছে, এই প্রানির আগমন হলো কিয়ামত নিকটবর্তী হবার বিরাট একটি আলামত।

প্যারাঃ (৮৫)

পাখনা বিহীন, অসংখ্য প্রাণী,

বিড়ালের অবয়ব।

বাকশক্তিহীন দাঁত বিশিষ্ট তাদের,

গজবে নিঃশেষ করিবেন রব।

ব্যাখ্যাঃ এখানে বলা হয়েছে, এই দাব্বাতুল আরদ্ এর কোন পাখনা থাকবে না। তারা সংখ্যায় অগনিত হবে। দেখতে প্রায়ই বিড়ালের আকৃতির হবে। তাদের দাঁতের কথা বিশেষ ভাবে উল্লেখ থাকায় বোঝা যাচ্ছে দাঁতই তাদের মূল হাতিয়ার হবে। আর বিশেষ উল্লেখ্য যে, তারা কথা বলবে না। যেহুতু কুরআনে বলা আছে যে,

যখন ঘোষিত শাস্তি তাদের উপর এসে যাবে তখন আমি মাটির গহবর হতে বের করবো এক জীব (দাব্বাতুল আরদ্), যা তাদের সাথে কথা বলবে, এ কারণে যে, তারা আমার নিদর্শনগুলো অস্বীকার করেছে। (সুরা নামাল, আয়াতঃ ৮২)

তার প্রেক্ষিতে লেখল তার মুল কিতাবে একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন যে,

হযরত মিকাইয়া (আঃ) এর যামানায়, একজন নষ্টা নারী অন্যের দ্বারা গর্ভপাত করে একটি বাচ্চাপ্রসব করে বলে যে, এ বাচ্চাটি মিকাইয়ার বাচ্চা। তখন সবাই জড়ো হয়ে সত্য জানতে চাইলে, হযরত মিকাইয়া (আঃ) বাচ্চাটির পেটে হাত দিয়ে বলে যে, হে বৎস্য তোমার পিতার নাম কি? তখন নাবালক টি সঠিক উত্তর দেয়, যে মিকাইয়া নয় আমার বাবা "অমুক"।

এবং ইউসুফ (আঃ) এর সময়ও ইউসুফকে নির্দোষ প্রমাণ করতে একটি নাবালোক বাচ্চা কথা বলে সাক্ষী দেয়। এ দ্বারা এ কথা বলা যাবে না যে, বাচ্চা দুটি সবসময়ই কথা বলেছে/তারা কথা বলতো। বরং একথা বলা যায় যে, বাচ্চা দুটি একবার করে কথা বলেছে।

কারণ তা ছিলো, নবীদের নির্দোষ প্রমাণ করা এবং তা ছিলো হযরত মিকাইয়া (আঃ) ও হযরত ইউসুফ (আঃ) এর মুজিজা। যেন সবাই নিদর্শন পেয়ে যায়, কেউ অস্বীকার না করে।

ঠিক তেমনি, এই দাব্বাতুল আরদ্ ও ঐ শিশুদের ন্যয় একবার কথা বলবে। যাতে করে যারা আল্লাহর নিদর্শন মানতো না তারা সঠিক জবাব পেয়ে যায়। হযরত ঈসা (আঃ) তাদের উত্থান সমন্ধে জিজ্ঞাসিত করলে আল্লাহর হুকুমে, তারা মানুষের সামনে একবার কথা বলবে। আর তা হবে হযরত ঈসা (আঃ) এর মুজিজা।

আয়াত দ্বারা একথা বোঝানো হয়নি যে, দাব্বাতুল আরদ্ সবসময়ই কথা বলবে। বরং তারা একবার কথা বলবে। কারণ, কুরআনে বলা আছে, "তারা কথা বলবে এ কারণেই যে, মানুষ আল্লাহর নিদর্শন সমুহ অস্বীকার করেছে।" (সূরা নামল, আঃ ৮২)

তাই তারা একবার কথা বলবে যেন, অস্বীকারকারীগণ স্বীকার করে নেয়। তিনি লিখেছেন, এটাই ঐ আয়াতের সঠিক তাফসির।

তারা মানুষকে অত্যাচার করবে। অতঃপর, কোন এক ব্যধিতে ঐ বছরই তাদের ধ্বংস হবে।

বিঃ দ্রঃ উপরোক্ত ব্যাখ্যা টি লেখক "আশ-শাহরান" এর নিজের লেখা ব্যাখ্যাই প্রচার করা হয়েছে। এখানে ব্যক্তিগত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি। ইলহামী ভবিষ্যৎবাণী আগামী কথন এই ব্যাখ্যাটি স্পষ্ট করে জানায় যা হাদিস এর বিপরীত নয়।

হযরত আবু মুসা আশআরী (রা:) আমি রসূল কে বলতে শুনেছি, যখন তিনি পৃথিবী ধ্বংসের আলামতগুলো বলছিলেন। তিনি বললেন, মরিয়াম পুত্র ঈসা (আঃ) ৩৩ বছর পৃথিবী শাসন করবেন। সে সময়েই জমিন থেকে এক ধরনের প্রাণী বের হবে (দাব্বাতুল আরদ), যাদের সংখ্যা হবে আকাশের তারকার ন্যায়। আর তাদের উত্থানে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।সে সময় মানুষ আল্লাহর নবী ঈসা (আঃ) এর নিকট সেই প্রাণীর ব্যাপারে নালিস জানাবে। তখন ঈসা (আঃ) সেই প্রাণীদের নেতার সাথে কথা বলবেন। আর তা মানুষ প্রকাশ্যে শুনতে পাবে।

রাবী বলেন, তিনি আরও বলেছেন, এই প্রাণীর পতনের পরের বছরই, ইয়াজুজ-মাজুজ বের হয়ে আসবে।
-       (আখীরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ ২৯১)

হযরত আরতাত (রা:) বলেন, রসূল কে বলতে শুনেছি, পৃথিবী ধ্বংসের পূর্বেই মাটির নিচ থেকে এক ধরনের প্রাণী বের হবে, যারা বিভিন্ন দিকে ছুটে বেড়াবে। আর সেই প্রাণীর দলটির প্রধান মারিয়াম পুত্র ঈসা (আঃ) এর সাথে কথা বলবে যা মানুষ নিদর্শন স্বরূপ দেখবে। সেই প্রাণীকে আল্লাহ ধ্বংস করে দিবেন। অতঃপর, সেই বছর শেষেই মানুষ দুইটি সম্প্রদায়কে দেখতে পাবে। যারা তীর চালনাতে পারদর্শী থাকবে এবং পৃথিবীর তিন ভাগের দুই ভাগ মানুষকেই হত্যা করবে।

তখন আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের ঘাড়ের ওপর আজাব নামবে, যাতে তাদের সকলেরই মৃত্যু ঘটবে। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, তারা কোন দুটি সম্প্রদায়? তিনি বললেন, ইয়াজুজ ও মাজুজ।
-       (আস-সুনানু কিতাবুল ফিরদউস ১৮০৩; আখীরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ ২৯০)

দাব্বাতুল আরদ্ এর বৈশিষ্ট্য

তারা এক প্রজাতির প্রাণী হবে। বিড়ালের থেকে বড়, শিয়ালের থেকে ছোট্ট। সামনের দুই পা থেকে পিছনের দুই পা, স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশিই দুরত্বে (পেট ও পিঠ লম্বাটে)। অনেক দাত, ছোট ছোট, কিন্তু ধারালো। তারা ঝাঁকে ঝাঁকে গোটা পৃথিবীর প্রায় সকল স্থানের মাটি খুড়ে খুড়ে নিচ থেকে বেড়িয়ে আসবে। সংখ্যায় অগনিত, গোনা যাবেনা।

তাদের কাজ হবে, মানুষকে বিরক্ত করা, কয়েকজন মিলে কোনো মানুষকে আক্রমণ করা। আক্রমণ করে, দাঁত ও নখ দিয়ে শরীরে ক্ষত করা, চিরে দেওয়া বা হত্যাও করা।

তারা দেখতে খুবই মিষ্টি হবে। মায়াবী হবে। কিন্তু দুষ্টমিতে সেরা। তাদেরকে অস্ত্র দিয়ে হত্যাও করা সম্ভব।

মুল কথা, তারা আসবেই মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলতে আজাব স্বরূপ। কিন্তু তাদের দলের প্রধান প্রাণীটা, হযরত মারইয়াম তনয় ঈসা (আঃ) এর সাথে কথা বলবে এ কারণে যে, মানুষ আল্লাহর নিদর্শন অস্বীকার করতো। সে কথা বলবে সবার সামনেই।

৬.৬২.২ দাব্বাতুল আরদ্ এর ধ্বংস

হাদিস থেকে জানা যায় প্রকাশের একই বছরে দাব্বাতুল আরদ্ সম্প্রদায় অজানা কোন রোগে রোগাক্রান্ত হয়ে সবাই মারা যাবে।

হযরত আবু মুসা আশআরী (রা:) বলেন, আমি রসূল কে বলতে শুনেছি, যখন তিনি পৃথিবী ধ্বংসের আলামতগুলো বলছিলেন। তিনি বললেন, মরিয়াম পুত্র ঈসা (আঃ) ৩৩ বছর পৃথিবী শাসন করবেন। সে সময়েই জমিন থেকে এক ধরনের প্রাণী বের হবে (দাব্বাতুল আরদ), যাদের সংখ্যা হবে আকাশের তারকার ন্যায়। আর তাদের উত্থানে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সে সময় মানুষ আল্লাহর নবী ঈসা (আঃ) এর নিকট সেই প্রাণীর ব্যাপারে নালিস জানাবে। তখন ঈসা (আঃ) সেই প্রাণীদের নেতার সাথে কথা বলবেন। আর তা মানুষ প্রকাশ্যে শুনতে পাবে।

রাবী বলেন, তিনি আরও বলেছেন, এই প্রাণীর পতনের পরের বছরই, ইয়াজুজ-মাজুজ বের হয়ে আসবে।
-       (আখীরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ ২৯১)

হযরত আরতাত (রা:) বলেন, রসূল কে বলতে শুনেছি, পৃথিবী ধ্বংসের পূর্বেই মাটির নিচ থেকে এক ধরনের প্রাণী বের হবে, যারা বিভিন্ন দিকে ছুটে বেড়াবে। আর সেই প্রাণীর দলটির প্রধান মারিয়াম পুত্র ঈসা (আঃ) এর সাথে কথা বলবে যা মানুষ নিদর্শন স্বরূপ দেখবে। সেই প্রাণীকে আল্লাহ ধ্বংস করে দিবেন। ...(প্রয়োজনীয় অংশ উল্লেখ)
-       (আস সুনানু কিতাবুল ফিরদউস ১৮০৩; আখীরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ ২৯০)


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ