৬.৪ কাশ্মীর মুমিনদের দখলে যাবে

 আফগান জাতি সহ অন্যান্য সকল দেশের মুজাহিদরা টার্গেট নিয়েছে কাশ্মীরকে দখলদার মুক্ত করার, এটি কারো অজানা নয়। এছাড়াও স্থানীয় মুজাহিদরাও ভারতের বিরুদ্ধে সেখানে রুখে দাঁড়িয়েছে। কাশ্মীরে ভারতের আগ্রাসন পৃথিবীতে নিন্দার ঝড় বইয়ে দিলেও তা রুখে দেওয়ার শক্তি কোন দেশের হয়নি। ভারত ও পাকিস্তান সরকার টানাটানিতে ব্যস্ত। পাকিস্তানের কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে বৈঠক ভারত নাকচ করে এর জবাব দিয়ে দিয়েছে। কাশ্মীর ইস্যুটি আমাদের কাছে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? এর বিজয়ই বা কি গুরুত্ব বহন করে? এর সাথে কি অন্য কোন ঘটনা জড়িত আছে কিনা? এই সকল প্রশ্ন আসতেই পারে যদি কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা করা হয়। কাশ্মীর বিষয়ে আমরা কোন হাদিস পাইনি যা দেখাতে পারবো আর সেই অনুযায়ী কিছু বলতে পারবো। কিন্তু যদি ইলহামী ভবিষ্যৎবাণী সম্বলিত কবিতা শাহ্‌ নিয়ামাতুল্লাহ (রহ:) এর কাসিদা ও আশ-শাহ্‌রান এর আগামী কথন দুইটি দেখি তাহলে তাতে দেখা যায় কাশ্মীর বিজয়ের বিষয় উল্লেখ রয়েছে। এটি ঘটে গেলে বুঝতে হবে এই কবিতা দুটির অন্যান্য ভবিষ্যৎবাণী গুলিও সত্য হিসেবে ঘটতে যাচ্ছে। আর এটি ঘটতে দেখলেই বুঝতে হবে ভারতীয় আগ্রাসন চরম মাত্রায় উঠবে, ভারতের মুশরিকরা তাদের পার্শ্ব ভূমি দখল করবে ও গণহত্যা চালাবে। কাশ্মীর এখনো বিজয় হয়নি। তবে সেখানকার যুদ্ধের পরিস্থিতি দেখে আন্দাজ করা যায় খুব দ্রুতই ঘটবে। কাসিদা ও আগামী কথনে এ বিষয়ে কি বলা রয়েছে তা নিচে দেয়া হলো-

১। শাহ্‌ নিয়ামাতুল্লাহ (রহঃ) এর কাসিদাতে বলা হয়েছে-

(৩৭) এরপর যাবে ভেগে নারকীরা পাঞ্জাব কেন্দ্রের
ধন সম্পদ আসিবে তাদের দখলে মুমিনদের।

ব্যাখ্যাঃ এখানে পাঞ্জাব কেন্দ্রের বলতে কাশ্মীর মনে করা হয়। গাজওয়াতুল হিন্দ অর্থাৎ হিন্দুস্তানের যুদ্ধের পূর্বে মুসলিমরা সর্বপ্রথম ভারতের কাছ থেকে একটি এলাকা দখল করে নেবে। আশা করা যায়, এটা হচ্ছে পাকিস্তান সীমান্তলগ্ন পাঞ্জাব ও জম্মু কাশ্মীর এলাকা। কারণ কাশ্মীরের স্থানীয় মুজাহিদ, আল কায়েদা, তালেবান সহ আরো অনেক জিহাদি গ্রুপ ব্যাপক আকারে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে জম্মু কাশ্মীরকে ভারতের দখল থেকে মুক্ত করার জন্য।

(৩৮) অনুরূপ হবে পতন একটি শহর মুমিনদের
তাহাদের ধনসম্পদ যাবে দখলে হিন্দুদের।

(৩৯) হত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ সেখানে চালাইবে তারা ভারি
ঘরে ঘরে হবে ঘোর কারবালা ক্রন্দন আহাজারি।

ব্যাখ্যাঃ ৩৮ ও ৩৯ নং প্যারায় বলা হয়েছে, মুসলিমরা যখন কাশ্মীর দখল করে নেবে তারপরই মুশরিকরা মুসলিমদের একটি এলাকা দখলে নেবে এবং সেখানে ব্যাপক হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে। মুসলমানদের ধন-সম্পদ ভারতের হিন্দু মুশরিকরা লুটপাটের মাধ্যমে নিয়ে নেবে, মুসলিমদের ঘরে ঘরে কারবালার ন্যায় রূপধারণ করবে। কিন্তু আপনি কি জানেন মুসলিমদের যে দেশটা ভারতের হিন্দুরা দখলে নিয়ে এ ধরনের হত্যা ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে সেটা কোন দেশ? ধারণা করা হয় সেটি আপনার প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। অর্থাৎ মুসলিমরা কাশ্মীর জয় করার পর মুশরিকরা বাংলাদেশ দখল করবে।

২। আগামী কথনে বলা হয়েছে-

প্যারাঃ (৬)

অতি সত্তর পাঞ্জাব কেন্দ্রে,
গাইবে মুমিনেরা জয়গান।
একটি শহর আসিবে দখলে,
ঈমানদারদের খোদার দান।

ব্যাখ্যাঃ লেখক আশ-শাহরান এই প্যারাতে বলেছেন যে, পাঞ্জাব কেন্দ্রে অর্থাৎ কাশ্মীরে মুমিনদের সাথে কাফেরদের একটি যুদ্ধ সংঘটিত হবে। যা বর্তমানে চলছে। সেই যুদ্ধে দ্রুতই মুমিনদের বিজয় হবে। কাফেরদের পরাজয় ঘটবে। মুমিনেরা কাশ্মীর শহর দখল করবে এবং তাতে দ্বীন কায়েম করবে। অর্থাৎ, বোঝা গেলো যে, বর্তমানে কাশ্মীর নিয়ে যে যুদ্ধটি চলছে, তাতে অতিসত্ত্বর মুমিনদের বিজয় হবে। ভারতের কাছ থেকে কাশ্মীরকে ছিনিয়ে নিবে মুমিনগণ। এই বিজয়ের মাধ্যমে, মহান আল্লাহ মুমিনদের একটি শহর দান করবেন এবং শাহ নিয়ামাতুল্লাহর কাসিদা ও আশ-শাহরান এর আগামী কথন এর ভবিষ্যৎবানীর পূর্ণ বাস্তবিক প্রতিফলন ঘটাবে।

প্যারাঃ (১২)

একটি শহর পেয়েছে মুমিনেরা,
হারাইবে অনুরুপ একটি।
স্বাধীনতার অর্ধ-শতাব্দীরও পর,
হাত ছাড়া হবে দেশটি।

ব্যাখ্যাঃ এই প্যারায় লেখক আশ-শাহরান উল্লেখ করেছেন, একটি শহর মুমিনরা পাবে। (কাশ্মীর) যা ৬ নং প্যারায় বলা হয়েছে যে, মুমিনেরা দখল করবে। আবার একটি শহর তাদের হাতছাড়া হবে। অর্থাৎ, হিন্দুস্তানের মুশরিকরা আবারো একটি দেশ দখল করে নিবে যেখানেও মুসলিমরা বসবাস করে। যে দেশটি দখল করবে, সে দেশটি তার ৫০ বছরেরও কিছুকাল পূর্বে স্বাধীনতা লাভ করেছিলো। হতে পারে ৫২-৫৩ বছর। যেহেতু অর্ধশতাব্দীর পর বলা নেই। বলা আছে "অর্ধ শতাব্দীরও পর"। তবে আশ-শাহরান উল্লেখ করে না বললেও ইঙ্গিত করেছেন যে সেটা কোন দেশ।

অতএব দেখা যাচ্ছে, এই কাশ্মীর বিষয়ের সাথে আরেকটি ঘটনাও ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। এটি হতে পারে আমাদের জন্য একটি সতর্কবার্তা বা সংকেত। অবস্থা অনুযায়ী যাতে আমরা আগে থেকেই ব্যবস্থা নিতে পারি সেজন্যই এটি জেনে রাখা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানের কাশ্মীরের যুদ্ধটিই হচ্ছে হিন্দের যুদ্ধের সূচনা। হিন্দের যুদ্ধ এই কাশ্মীর বিজয়ের মাধ্যমেই আরো চূড়ান্ত রূপ নিবে এবং সর্বশেষ মুসলিমরা হিন্দে বিজয় অর্জন করবে ইংশাআল্লাহ।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ