৬.১২ হিন্দুস্তানে কোন হিন্দু রেওয়াজ থাকবেনা

 এই যুদ্ধে হিন্দু মুশরিক মূর্তি পূজারীরা পরাজয় বরণের পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। অর্থাৎ চিরতরে পরাজিত হবে এবং মূর্তি পূজারীদের কোন নাম নিশানা এই হিন্দুস্তানে অবশিষ্ট থাকবে না। আল্লাহর মনোনীত মুজাদ্দিদ সেই কাজটিই প্রথমে করবেন যা প্রত্যেক নবী-রসূল (আঃ) রাও করেছেন দ্বীন প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক হিসেবে। তা হচ্ছে শিরককে ধ্বংস করা। তার সাথে শিরকি বস্তুও নষ্ট করে ফেলা। তিনিও ঠিক এটিই করবেন। হাদিসে এসেছে-

হযরত আবু হাইআজ আশাদি (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, আলী (রা:) আমাকে বললেন, আমি তোমাকে সেই দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করছি, যে দায়িত্ব দিয়ে রসূলে পাক আমাকে প্রেরণ করেছিলেন। তা হলো- যত মূর্তি প্রকৃতি দেখবে সব ভেঙে গুড়িয়ে দেবে, স্বাভাবিক কবরের পরিচিতির জন্য সামান্য উচ্চতা বেশি কোন উঁচু কবর দেখলে তা ভেঙে দেবে এবং যত ছবি দেখবে সব মুছে ফেলবে।
-       (আস-সুনানু কিতাবুল ফিরদাউস ১০৬১)

হযরত আলী (রা:) বলেন, একদিন রসূল এক জানাযায় বের হলেন। তিনি বললেন, তোমাদের মাঝে কে আছে মদিনার ভেতরে গিয়ে যত মূর্তি পাবে সব ভেঙে ফেলবে, যত উঁচু কবর দেখবে সব সমান করে দিবে এবং যত ছবি পাবে সব নষ্ট করে দিবে। একজন সাহাবী বললেন, ইয়া রসূল ! আমি যাব। কিন্তু তিনি মদিনাবাসী কে ভয় পেয়ে ফিরে আসলেন। তখন আলী (রা:) বললেন, হে আল্লাহর রসূল ! আমি যাব। তিনি বললেন, যাও। তখন আমি চলে গেলাম। তখন ফিরে এসে বললাম, আমি সকল মূর্তি ভেঙ্গে দিয়েছি, সকল কবর ভেঙে সমান করে দিয়েছি এবং সকল ছবি নষ্ট করে দিয়েছি। এরপর রসূল বললেন, যদি কেউ আবারো এ সকল কাজের কোন একটি করে, তাহলে সে মুহাম্মদ এর উপর অবতীর্ণ ধর্মের সাথে কুফুরি করল।
-       (হাসান, আস-সুনানু কিতাবুল ফিরদাউস ১০৬২; মুসনাদ আহমদ ১/৮৭, ১৩৮; আহমদ শাকির, মুসনাদ আহমদ ২/৬৮-৬৯, ২৭৪-২৭৫)

হাদিস থেকে জানা যায়, এই হিন্দে ইসলামী হুকুমাত কায়েম হবে এবং কোন শিরকি কার্যকলাপ আর থাকবে না।

হযরত কা'ব (রা:) বলেন, আমি রসূল কে বলতে শুনেছি, অচিরেই মুসলমানরা এক দুর্বল বালকের নেতৃত্বে হিন্দুস্তান দখল করবে। আর এ যুদ্ধের ব্যপারেই তোমাদের প্রতিশ্রুতি নেয়া হয়েছে। আর আল্লাহও এই যুদ্ধে বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আর সেখান থেকেই আল্লাহ মুশরিকদের পতন করে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন। একথা বলে তিনি সূরা ইবরাহীম এর ৪৭ নং আয়াত পাঠ করলেন। (প্রয়োজনীয় অংশ)
-       (আস-সুনানু কিতাবুল ফিরদাউস ১৫০৭; কিতাবুল আক্বিব ১০০; আখীরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ ২৩৫)


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ