৬.৫৭ ইমাম জাহজাহ এর নামাজে ইমামতির সময় ঈসা (ؑআ) এর আগমন

 জাবির (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ বলেছেন: আমার উম্মতের একদল লোক সত্যের উপর দৃঢ় থেকে (বাতিলের বিরুদ্ধে বিজয়ীরূপে কিয়ামত পর্যন্ত যুদ্ধ করতে থাকবে। তিনি বলেন, অতঃপর ঈসা ইবনু মারইয়াম (আঃ) অবতরণ করবেন। সে সময়ের লোকেদের আমীর বা নেতা (ইমাম জাহজাহ) তাকে বলবেন, আপনি এদিকে আসুন এবং লোকদেরকে সালাত আদায় করিয়ে দিন। তিনি বলবেন না; বরং তোমরা একে অপরের ইমাম। আল্লাহ তাআলা এ উম্মাতকে মর্যাদা দান করেছেন।

-       (সহীহ, সহীহুল মুসলিম ২৪৭-(১৫৬); মিশকাত হাঃ একাঃ ৫৫০৭; মুসনাদে আহমাদ ২৪৮৪; আবূ দাউদ ২২৪৫; সহীহুল জামি ৭২৯৩; সিলসিলাতুস্ সহীহাহ ১৯৬০; মুসনাদে আহমাদ ১৪৭৬২; সহীহ ইবনু হিব্বান ৬৮১৯; আল মু'জামুল কাবীর লিত্ব তবারানী ১৪৬৪৮; আল মু'জামুল আওসাত্ব ৯০৭৭; আল মুসতাদরাক লিল হাকিম ২৩৯২; আস্ সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী ১৮৩৪৯; আস সাওয়ায়িকুল মুহ্রিকাহ্, অধ্যায় ১১, উপাধ্যায় ১, পৃ. ২৫১; সুয়ূতী প্রণীত নুযূল ঈসা ইবনে মারইয়াম আখিরায যামান)

আবূ হুরাইরাহ্ (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল বলেছেন, তোমাদের অবস্থা কেমন হবে যখন তোমাদের মধ্যে মারইয়াম পুত্র ঈসা (আঃ) অবতরণ করবেন আর তোমাদের ইমাম তোমাদের মধ্য থেকেই হবে। *
-       (সহীহ, সহীহুল বুখারী তাঃ পাঃ ৩৪৪৯, ২২২২ [আঃ প্রঃ ৩১৯৪; ইসঃ ফাঃ ৩২০৩]; সহীহুল মুসলিম ১/১৭ হাঃ ১৫৫; মুসনাদে আহমাদ ৭৬৮৪; আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ, পথিক প্রকাঃ ১৬০২; উকাইল ও আওযাঈ হাদীস বর্ণনায় এর অনুসরণ করেছেন।)
-       * তোমাদের ইমাম তোমাদের থেকেই বলতে ইমাম জাহজাহ কে বলা হয়েছে যিনি তখন মুসলিমদের শাসক/ইমাম থাকবেন এবং তিনি আমাদের উম্মতের মধ্য থেকেই একজন। অর্থাৎ তিনি তখন খলীফা/ইমামুল মুসলিমীন।

হযরত জাবির (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূল () বলেছেন, আমার উম্মতের একদল মুজাহিদ কিয়ামত পর্যন্ত শত্রুর উপর বিজয়ী থাকবে। এক পর্যায়ে আকাশ থেকে ঈসা ইবনে মরিয়ম (আঃ) অবতরণ করলে মুসলমানদের নেতা (জাহজাহ) বলবে, আসুন নামাজের ইমামতি করুন! তখন ঈসা (আঃ) বলবেন, না, বরং তোমাদের একজন অপরজনের নেতা। তুমিই ইমামতি কর, এটি এই উম্মতের জন্য আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে একটি বিরাট সম্মানের।
-       (আস সুনানু কিতাবুল ফিরদাউস ৭৬১)

জাবির ইবনে আবদুল্লাহ্ বলেছেন, রসূলুল্লাহ্ বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্য থেকে একদল লোক ঈসা ইবনে মারইয়ামের অবতরণ পর্যন্ত সত্যের জন্য যুদ্ধ করতে থাকবে। ঈসা ইবনে মারইয়াম অবতরণ করলে তাদের ইমাম (জাহজাহ) তাঁকে নামায পড়ানোর জন্য অনুরোধ করবে। কিন্তু ঈসা বলবেন: এ কাজ করার জন্য আপনি অধিক হকদার। আর মহান আল্লাহ্ এ উম্মতে আপনাদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে অন্যদের ওপর মর্যাদা দিয়েছেন।
-       (মুসনাদে আবু ইয়ালা; সহীহ্ ইবনে হিববান)

হযরত উসমান ইবনে আবুল আস (রা:) বলেন, আমি রসূলুল্লাহ কে বলতে শুনেছি, হযরত ঈসা (আ.) আছরের নামাযের সময় অবতরণ করবেন। তখন মুসলমানদের আমীর (জাহজাহ) তাঁর নিকট আবেদন জানাবেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনি নামাজের ইমামতি করুন। তিনি বলবেন, এ উম্মত একে অন্যের উপর আমীর (অর্থাৎ তোমাদের জন্যই নামাজের ইকামত দেওয়া হয়েছে, তাই তোমরাই নামাজ পড়াও) তখন আমীর অগ্রসর হয়ে নামায পড়াবেন।
-       (মুসনাদে আহমদ, ৪র্থ খণ্ড, ২১৬ পৃষ্ঠা; দুররে মানসুর, ২য় খণ্ড, ২৪৩ পৃষ্ঠা; মুসতাদরাকে হাকিম, ৪র্থ খণ্ড, ৪৭৮ পৃষ্ঠা)

আবু উমামা বাহেলি (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূল দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করলেন। অতঃপর উম্মে শারিক রাদিয়াল্লাহু আনহা বললেন, ইয়া রসূল ! সেদিন মুসলমানগণ কোথায় থাকবে? তিনি বললেন, বাইতুল মুকাদ্দাসে। সে বাহির হবে, এমনকি তাদেরকে ঘিরে ধরবে। সেদিন মুসলমানদের নেতা হবে একজন ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি (জাহজাহ)। অতঃপর বলা হল, ফজরের নামাজ আদায় করবে। অতঃপর যখন তাকবির দিবে ও তাতে প্রবেশ করবে, তখন ঈসা ইবনু মারিয়াম আলাইহিস সালাম অবতরণ করবেন। যখন ঐ ব্যক্তি তাকে দেখবে, তাকে চিনবে। তখন সে পিছনে ফিরে আসবে। অতঃপর ঈসা আলাইহিস সালাম অগ্রসর হবেন। অতঃপর তিনি তার হাত তার কাঁধে রাখবেন এবং বলবেন, আপনি নামাজ পড়ান। কেননা, আপনার জন্যই নামাজ প্রস্তুত করা হয়েছে। অতঃপর ঈসা আলাইহিস সালাম তার পিছনে নামাজ আদায় করবেন এবং বলবেন, দরজা খুলে দাও। ফলে তার দরজা খুলে দিবে। সেদিন দাজ্জালের সঙ্গে সত্তর হাজার ইহুদি থাকবে। তারা প্রত্যেকেই থাকবে অস্ত্রে-সস্ত্রে সজ্জিত। যখন সে ঈসা আলাইহিস সালামকে দেখবে, তখন সে চুপসে যাবে, যেমন নাকি সীসা চুপসে যায় এবং পানিতে লবন বিলীন হয়ে যায়। অতঃপর সে পালিয়ে যাবে। তখন ঈসা আলাইহিস সালাম বলবেন, নিশ্চয়ই তোমার মধ্যে আমার জন্য কল্যাণ আছে। আমাকে তা থেকে বিরত করো না। অতঃপর তিনি তাকে পাবেন ও হত্যা করে দিবেন। এরপর পৃথিবীতে আর এমন কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না, যার দ্বারা ইহুদিরা আত্মগোপন করবে; আল্লাহ তায়ালা (কিছু নিদর্শনের মাধ্যমে সবকিছু) বলে দিবেন। প্রত্যেক পাথর, প্রত্যেক গাছ, প্রত্যেক প্রাণীই বলবে, হে আল্লাহর বান্দা মুসলিম! এই যে ইহুদি। তাকে হত্যা করো। তবে গারকাদ ব্যতীত। কেননা সেটা তাদের গাছ। সুতরাং সেটা কোন কথা বলবে না। আর ঈসা হবে আমার উম্মতের মধ্যে বিচারক, ন্যায়পরায়ণ ইমাম। তিনি ক্রুশকে চূর্ণবিচূর্ণ করবেন। শূকর হত্যা করবেন। জিযিয়া উঠিয়ে নিবেন। তিনি সদকা গ্রহণ করবেন না। ছাগলের উপর ধাবিত হবেন না। শত্রুতা, ক্রোধ উঠিয়ে নেওয়া হবে। প্রত্যেক প্রাণীর বিষ উঠিয়ে নেওয়া হবে। এমনকি ছোট বাচ্চা তার হাত বিষধর (প্রাণীর মুখে) ঢুকিয়ে দিবে, কিন্ত তাকে তা দংশন করবে না। আর ছোট শিশুর সঙ্গে সিংহের দেখা হবে, কিন্তু সিংহ তাকে কোন ক্ষতি করবে না। আর কেমন যেন গরুর পালে সিংহ, সিংহের পালে কুকুর থাকবে। এমনিভাবে সাপ ছাগলের পালের ভিতর থাকবে, কেমন যেন ছাগলের পালে কুকুর। আর সমস্ত দুনিয়া ইসলামে ভরে যাবে। কাফেরদের থেকে তাদের রাজ্য ছিনিয়ে নেওয়া হবে। ফলে পৃথিবীতে ইসলামের রাজত্ব ব্যতীত অন্য কোন রাজত্ব থাকবে না। আর যমিনের রৌপ্যের জাগরণ হবে। ফলে যমিনে তার ফসল ফলাবে, যেমন আদম আলাইহিস সালামের সময় ছিল। দলে দলে মানুষ একটি আঙ্গুরের থোকার নিকট জমায়েত হবে। তা থেকেই সবাই খেয়ে পরিতৃপ্ত হয়ে যাবে। এমনিভাবে দলে দলে মানুষ একটি আনারের নিকট জমায়েত হবে। আর তা থেকে সকলেই খেয়ে পরিতৃপ্ত হয়ে যাবে। এমনিভাবে অন্যান্য মাল সম্পদের জাগরণ ঘটবে। আর খুব কম মূল্যে ঘোড়া পাওয়া যাবে।
-       (হাসান, আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ, পথিক প্রকাঃ ১৫৮৬; ইবনে কাছীর)

হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূল বলেন, যারা দাজ্জালের সঙ্গে থাকবে তাদের মাঝে শয়তান থাকবে, কিছু বনী আদম দাজ্জালের অনুসরণে লেগে থাকবে। অতঃপর তার নিকটে আসবে, তাদের কতিপয় লোক তাকে বলবে, তোমরা হলে শয়তান। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা অচিরেই ঈসা ইবনু মারিয়াম আলাইহিস সালামকে ইলিয়া নামক এলাকায় পরিচালিত করবেন। অতঃপর তিনি তাকে হত্যা করবেন। সেখানে মুসলমানদের দল ও তাদের খলিফা থাকবে। তখন মুয়াযযিন ফজরের আযান দেয়ার পর (মুয়াযযিন) মানুষের আওয়াজ শুনবে, আর তা হল ঈসা ইবনু মারিয়াম আলাইহিস সালাম। তখন ঈসা আলাইহিস সালাম নেমে আসবেন, লোকজন তাকে স্বাগত জানাবে। মানুষ তার আগমনের এবং রসূল এর ভবিষ্যৎ বাণী সত্য হওয়ার কারণে আনন্দিত হবে। অতঃপর তিনি মুয়াযযিনকে নামাজ পড়াতে বলবেন। লোকজন ঈসা আলাইহিস সালামকে বলবে, আপনি আমাদের নামাজ পড়ান। অতঃপর তিনি বলবেন, তোমরা তোমাদের ইমামের নিকট যাও। সে তোমাদের নিয়ে নামাজ আদায় করবে। কারণ, সে কতইনা উত্তম ইমাম। অতঃপর তাদের ইমাম তাদেরকে নিয়ে নামাজ আদায় করবে, ঈসা আলাইহিস সালাম তাদের সঙ্গে নামাজ আদায় করবেন। অতঃপর ইমাম ফিরে আসবেন এবং ঈসা আলাইহিস সালামের আনুগত্য স্বীকার করবেন, তিনি মানুষদের নিয়ে সফর করবেন। এমনকি যখন তিনি দাজ্জালকে দেখবেন যে, সে দ্রবীভূত হয়ে যাচ্ছে, যেমন নাকি আলকাতরা দ্রবীভূত হয়। তখন তিনি তার দিকে যাবেন, আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছায় তাকে হত্যা করবেন। তার সঙ্গে যাকে আল্লাহ তায়ালা চাইবেন তাকেও হত্যা করবেন। অতঃপর তারা পৃথক হয়ে যাবে, এবং প্রত্যেক গাছ ও পাথরের নিচে তারা নিঃশেষ হতে থাকবে। তখন গাছ বলবে, হে আল্লাহর বান্দা, হে মুসলিম! এই যে আমার নিচে ইহুদি, তাকে হত্যা করো। এভাবে পাথরও ডাকতে থাকবে। তবে গারকাদ তথা ঝাউ গাছ বলবে না। কারণ, সেটা ইহুদিদের গাছ। উক্ত গাছগুলো তার দিকে কাউকে ডাকবে না, যারা তার নিকটে থাকবে। অতঃপর রসূল বললেন, আমি তোমাদের নিকট এসব আলোচনা করতেছি, যাতে তোমরা ভালভাবে উপলব্ধি করতে, বুঝতে ও স্মরণ রাখতে পারো এবং তার ব্যপারে জানতে পারো। আর তোমরা তার ব্যাপারে তোমাদের পরে যারা আসবে তাদের নিকট আলোচনা করিও। এভাবে একে অপরের কাছে আলোচনা করবে। কেননা নিশ্চয়ই তার ফিতনা হল সবচে' বড় ফিতনা। অতঃপর তোমরা ঈসা আলাইহিস সালামের সঙ্গে জীবন যাপন করবে, যেভাবে আল্লাহ তায়ালা চান।
-       (যঈফ, আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ, পথিক প্রকাঃ ১৫৮৮)

আবু হুরাইরা (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে যে জীবিত থাকবে, সে অচিরেই ঈসা আলাইহিস সালামকে ইমামরূপে দেখবে, সঠিক পথের দিশারী হিসাবে এবং ন্যায়পরায়ণ বিচারক হিসাবে। তিনি ক্রুশ ধ্বংস করবেন। শুকর হত্যা করবেন। জিঝিয়া উঠিয়ে নিবেন এবং যুদ্ধ তার অস্ত্র রেখে দিবে। মুহাম্মাদ বলেন, আমি আবু হুরাইরা (রা:) থেকে এতটুকুই জানি যে, তিনি বলেন, ঈসা আলাইহিস সালাম দুই আজানের মাঝে অবতরণ করবেন। তার পরনের কাপড় থেকে পানি ঝরবে। তার উপর দুটি কাপড় থাকবে, যা জড়ানো থাকবে বা পরিহিত অবস্থায় থাকবে। মুহাম্মাদ বলেন, আমি ধারণা করি যে, তারা উক্ত কথাগুলো কোনো কিতাবে পেয়েছে। তারা জানেনা যে, তার রং কি? অতঃপর ঈসা আলাইহিস সালাম এই উম্মতের এক ব্যক্তির (ইমাম জাহজাহ) পিছনে নামাজ আদায় করবেন।
-       (সহীহ, আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ, পথিক প্রকাঃ ১৫৯১)

আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যারা কুন্তুনতুনিয়া বিজয় করবে, তাদের নিকট দাজ্জালের আবির্ভাবের খবর পৌঁছবে। অতঃপর তারা সামনে অগ্রসর হবে। এমনকি তারা দাজ্জালের সঙ্গে বাইতুল মোকাদ্দাসে মিলিত হবে। সেখানে আট হাজার মহিলা ও বারো হাজার যোদ্ধাকে আটকে রাখা হয়েছে। তারা অবশিষ্টদের মাঝে উত্তম ও অতিবাহিতদের মাঝে সৎ। তারা মেঘের কুয়াশার মধ্যে থাকবে, আর তখনই সকাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা দূর হয়ে যাবে। তখন ঈসা ইবনু মারিয়াম আলাইহিস সালাম তাদের মাঝে আসবেন। তখন তাদের ইমাম (জাহজাহ) ঈসা ইবনু মারিয়াম আলাইহিস সালামকে তাদের নিয়ে নামাজ আদায়ের জন্য দায়িত্ব দিবেন, ঈসা ইবনু মারিয়াম আলাইহিস সালাম আসবেন, এমনকি উক্ত দলের সম্মানার্থে তাদের ইমাম (জাহজাহ) নামাজ আদায় করবেন। অতঃপর তারা দাজ্জালের শেষ সময়ে দাজ্জালের দিকে অগ্রসর হয়ে তাকে আঘাত করবে, ও হত্যা করবে। আর তখনই জমিন চিৎকার করবে, কোন পাহাড়, গাছ বা জিনিস অবশিষ্ট থাকবে না, বরং প্রত্যেকেই বলবে, হে মুসলিম! এখানে আমার পিছনে ইহুদি, সুতরাং তাকে হত্যা কর। তবে গারকাদ (এক প্রকার গাছ বিশেষ) ব্যতীত। কেননা এটা ইহুদি গাছ। অতঃপর একজন ন্যায় বিচারক অবতরণ করবেন এবং ক্রুশ ধ্বংস করবেন, শূকর হত্যা করবেন, (অমুসলিমদের জন্য) জিযিয়া উঠিয়ে নিবেন। অতঃপর কুরাইশরা আমিরের পদ বলপূর্বক নিয়ে নিবে। যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবে। আর তখন পৃথিবী রৌপ্যের কাঁচের বোতলের ন্যায় হবে। শত্রুতা, হিংসা ও বিদ্বেষ এবং প্রত্যেক কাঁটাওয়ালা বস্তু বা রোগজীবানু উঠিয়ে নেওয়া হবে। যেমনিভাবে পাত্র পানিতে ভরে গিয়ে পাত্রের পার্শ্ব দিয়ে পানি উবলে পড়তে থাকে, ঠিক তেমনিভাবে পৃথিবীও শান্তিতে ভরে যাবে। এমনকি ছোট কিশোরী সিংহের মাথার উপর আরোহন করবে। সিংহ গরুর (পালের) ভিতর প্রবেশ করবে। আর বাঘ ছাগলের (পালের) ভিতর প্রবেশ করবে। বিশ দিরহামের বিনিময়ে একটি ঘোড়া বিক্রি হবে। ষাঁড় অনেক মুল্যবান হবে। মানুষ সৎ হয়ে যাবে। তখন (মানুষ) আকাশকে আদেশ করবে, ফলে আকাশ বৃষ্টি বর্ষণ করবে। (তারা জমিনকে আদেশ করবে, ফলে) জমিন ফসল উৎপন্ন করবে। এমনকি তাদের সময় আদম আলাইহিস সালামের সময়ের মতো হয়ে যাবে। এমনকি তারা একটি বেদানা ফল থেকে অনেক মানুষ খাবে। এবং এক গুচ্ছ হতে অনেক দল খাবে। তারা বলবে, হায়! আমাদের পূর্বপুরুষগণ যদি এ আরাম আয়েশ (দেখতে) পেত!
-       (সহীহ, আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ, পথিক প্রকাঃ ১৫৯২)


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ