৬.১৫ বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা!

 ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় ১ম বিশ্বযুদ্ধ যখন হয়েছে তখন পৃথিবী এত আধুনিক ছিল না এবং তেমন আধুনিক অস্ত্রও ছিল না। এরপর যখন ২য় বিশ্বযুদ্ধ হয়েছে তখন ১ম বিশ্বযুদ্ধ থেকে আরো ভয়াবহ হয়েছে। তখন অনেক নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হয়েছিল এবং সেই যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্রই ব্যবহার হয়েছিল। সেটি হয়েছিল ১৯৪৫ সালে। আর এখন চলে ২০২০ সাল। এত দিনে প্রযুক্তি যে কত আপডেট হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর পুরো বিশ্ব আধুনিক অস্ত্র তৈরিতে, যুদ্ধসরঞ্জাম তৈরিতে এত পরিমাণ শ্রম-সময়-অর্থ দিয়েছে যা অন্য কোন খাতে দিয়েছে কিনা জানা নেই। কারণ যত শক্তিশালী অস্ত্র থাকবে তত শক্তিশালী দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত হবে। অত্যাধুনিক অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে আন্তদেশ মিসাইল, আন্তমহাদেশীয় মিসাইল, ব্যালিস্টিক মিসাইল, হাইপারসনিক মিসাইল, হাইড্রোজেন বোমা, রাসায়নিক বোমা, পারমাণবিক বোমা।

অত্যাধুনিক ড্রোন প্রযুক্তি এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ব্যাবহার করে তৈরি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র। এই সকল অস্ত্রের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র বা বোমাই হচ্ছে সবচেয়ে মারাত্মক। গবেষকরা বলেন বিশ্বে এখন এত পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র বা বোমা রয়েছে যে, তা দিয়ে পুরো পৃথিবীকে কয়েকবার ধ্বংস করা যাবে। এটা কোনো মুখের কথা নয় তার প্রমাণ আমরা দেখেছি হিরোশিমা আর নাগাসাকিতে। সেখানে এই বোমা যা বর্তমানের পারমাণবিক অস্ত্র বা বোমার থেকে কম শক্তিশালী ছিল তা নিক্ষেপ করা হয়েছিল। সেখানে তখন অনেক মানুষ তো মারা গিয়েছিলই সাথে বর্তমানে সেখানের আশে পাশে যারা বসবাস করতো দেখা গেছে তাদের শিশুরা পঙ্গু হয়ে জন্মাচ্ছে, লোকজন ক্যান্সারে ভুগতেছে ইত্যাদি বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে। এর কারণ এ থেকে তৈরি হওয়া বিষাক্ত গ্যাস ও তেজস্ক্রিয়তা।

বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা লিখে বুঝানো সম্ভব হবে না। হাদিসে এসেছে- মুশরিকরা নিজেদের অবাধ্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পৃথিবীতে কেয়ামত আনয়ন করবে। অর্থাৎ এই যুদ্ধে বিশ্বের অবস্থা এমন হবে যে, মনে হবে কেয়ামত শুরু হয়েছে যদিও এটি সেই মহা কিয়ামত নয়। অন্য এক হাদিসে এসেছে এত ব্যাপকভাবে ধ্বংস-বিধ্বস্ত হবে যে, মানুষ মনে করবে হয়তো তার পাশের সকল সম্প্রদায়ই ধ্বংস হয়ে গেছে! এই বিশ্বযুদ্ধে পারমাণবিক সহ আরো অত্যাধুনিক অস্ত্রের ব্যবহার হবে এত কোন সন্দেহ নাই। অর্থাৎ যত ধরনের অস্ত্র আছে সবই এ যুদ্ধে ব্যবহার করা হবে। এই সকল অস্ত্রের বাবহারের ফলে আকাশে এত ধোঁয়া দেখা দিবে যা হবে আরেকটি ভয়াবহ পরিস্থিতি। পরবর্তী চরম দুর্ভিক্ষের কথা নাই বা বললাম। হাদিসে এসেছে-

আবদুল মালিক ইবনু শুআয়ব ইবনু লায়স (রহঃ) ..... মুসতাওরিদ আল কুরাশী (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি আমর ইবনুল আস (রা:) এর নিকট বললেন, আমি রসূলুল্লাহ কে বলতে শুনেছি, রোমীয়দের সংখ্যা যখন সবচেয়ে বেশী হবে তখন কিয়ামত সংঘটিত (মহাযুদ্ধ সংঘটিত) হবে। এ কথা শুনা মাত্র আমর ইবনুল আস (রা:) তাকে বললেন, কি বলছ, চিন্তা-ভাবনা করে বলো। তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ হতে যা শুনেছি আমি তাই বর্ণনা করছি। তারপর আমর ইবনুল আস (রা:) বললেন, তুমি যদি বলো, তবে সত্যই বলছ। (সংক্ষেপিত) *
-       (সহীহ, সহীহুল মুসলিম হাঃ একাঃ ৭১৭১, ৭১৭২-(৩৫/২৮৯৮) [ইঃ ফাঃ ৭০১৫-১৬, ইঃ সেঃ ৭০৭২-৭৩])
-       * অন্যান্য সকল হাদিস থেকে জানা যায় যে ঈসা (আঃ) এর আগমনের মাধ্যমে সব আহলে কিতাবরা ঈমান এনে মুসলিম হবে। এবং ঈসা (আঃ) এর মৃত্যুর পর অবশিষ্টরা আবার পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে এমন কি শয়তান তাদের মূর্তিপূজা করতে বলবে এবং তারা তা করবে এবং পশুর মতো যেখানে সেখানে সঙ্গমে লিপ্ত হবে। এই নিকৃষ্ট জাতিকে রোমীয় বলার কোনই কারণ নেই। অর্থাৎ এইখানে কিয়ামত বলতে ৩য় বিশ্বযুদ্ধকে বুঝিয়েছে নয়তোবা একটি আলামত হিসেবে বলা হয়েছে যে কিয়ামতের আগে একটা সময় রোমীয়দের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হবে। এরপর আবার কমে যাবে। অর্থাৎ জাহজাহ এর শাসনকালে রোমীয়দের সাথে আমাক প্রান্তরের যুদ্ধ।

হযরত মুস্তাওয়ীদ আল কুরাইশী (রা:) বলেন, আমি রসূল কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের পূর্বে ইহুদী-খৃষ্টান বৃদ্ধি পাবে। আর বজ্রাঘাতের মৃত্যুতে তাদের সংখ্যা কমে যাবে।
-       (আস-সুনানু কিতাবুল ফিরদাউস ৮০৭)

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা:) বলেন, রসূল ﷺ বলেছেন, সাবধান! মুশরিকরা নিজেদের অবাধ্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পৃথিবীতে কেয়ামত আনয়ন করবে। আর তখন পৃথিবীতে অগ্নি প্রকাশ (পারমাণবিক যুদ্ধ) পাবে, যা পৃথিবীর দুই-তৃতীয়াংশ মানুষকে ধ্বংস করবে। তারপরেই আল্লাহ তায়ালা একটি শান্তিময় পৃথিবী দেখাবেন, যেখানে কোনো বিশৃঙ্খলা থাকবে না। এ কথা বলে তিনি সূরা ইবরাহীমের ৪৮ নম্বর আয়াত পাঠ করলেন।
-   (আস-সুনানু কিতাবুল ফিরদাউস ১১৭৮)

সালামা ইবনু নুফাইল সাকুবি (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসূল কে বলতে শুনেছি, নিশ্চয়ই তিনি আমার নিকট ওহি প্রেরণ করেছেন যে, আমি তোমাদের মধ্যে অবস্থানকারী নই। আর আমার পর তোমরা অল্প সময়ই অবস্থানকারী। অতঃপর তোমরা অবস্থান করবে, এমনকি বলবে, কখন? আর অচিরেই ধ্বংস আসবে। তোমরা একে অপরকে ধ্বংস করে দিবে। আর কিয়ামতের পূর্বে দুটি কঠিন মৃত্যু হবে। আর তারপরের বছরগুলো হবে ভূমিকম্পের বছর।
-       (সহীহ, আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ, পথিক প্রকাঃ ১৭০৪)

এই বিশ্বযুদ্ধের ফলে অসংখ্য লোক মারা যাবে। শুধু মাত্র আল্লাহ যাদেরকে চাইবেন তারা ছাড়া কেউ বাঁচতে পারবে না। অর্থাৎ এই যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি বিশ্বের প্রতিটি শহরে, প্রতিটি গ্রামে পৌছবে। এটাকেই ফিতনায়ে দুহাইমা ও বলা হয়েছে। হাদিসে এসেছে-

আল ফিতানে রয়েছে- তারপর আরম্ভ হবে ফিতনায়ে দুহাইমা তথা অন্ধকারাচ্ছন্ন ফিতনা। যখন বলা হবে ফিতনা শেষ হয়ে গেছে, তখন তা এত প্রসারিত হবে যে, আরবের এমন কোন ঘর অবশিষ্ট থাকবে না। যেখানে তারা প্রবেশ করবেনা, (অর্থাৎ প্রতিটি ঘরে তা প্রবেশ করবেই। আর মানুষ তখন এমন ভাবে লড়াই করতে থাকবে যে, সে একথা জানবেনা যে, সেকি সত্যের বিরুদ্ধে লড়াই করছে? নাকি বাতিলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এভাবে সব সময় তা চলতে থাকবে। অবশেষে সকল মানুষ দুটি তাবুতে (দলে) বিভক্ত হয়ে যাবে। একটি দল হবে ঈমানের, এখানে মুনাফেকী থাকবে না।(আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৯৩)

আবু দাউদে আছে- এরপর চরম ফিতনা (ফিতনায়ে দুহাইমা তথা অন্ধকারাচ্ছন্ন) প্রকাশ পাবে, যা এ উম্মতের কাউকে এক চড় না দিয়ে ছাড়বে না। এরপর লোকেরা যখন বলাবলি করতে থাকবে যে, ফিত্‌নার সময় শেষ হয়ে গেছে, তখন তা আরো বৃদ্ধি পাবে (অর্থাৎ দিন দিন তা বাড়তেই থাকবে)। তখন এমন অবস্থার সৃষ্টি হবে, সকালে যে মুমিন থাকবে, সে সন্ধ্যায় কাফির হয়ে যাবে। এ সময় লোকেরা বিভিন্ন দুর্গে আশ্রয় গ্রহণ করবে। আর মুসলিমরা যে দুর্গে অবস্থান করবে, সেখানে কোন মুনাফিক থাকবে না এবং যেখানে মুনাফিকরা থাকবে, সেখানে কোন মুমিন লোক থাকবে না। (সহীহ, সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত/ আলবানী একাঃ) ৪২৪৩ [ইঃ ফাঃ ৪১৯৫])

ইমাম আবু উবাইদ আল-কাসেম রহ. (মৃ: ২২৪ হি:) নিজ সনদে হুযাইফা (রা:) থেকে বর্ণনা করেছেন, তোমদের (মুসলমানদের) উপর (ফিতনায়ে) দুহাইমা আবির্ভূত হবে। (তখন) নাশফ্ নিক্ষেপ করা হবে। এর পরে আসবে রাদফ্ (অগ্নী শীলা)-এর নিক্ষেপণ।
-       (গারিবুল হাদিস, ইমাম আবু উবায়েদ ২/২৩২)

তিনি তিনবার বললেন: তোমদের (মুসলমানদের) উপর (ফিতনায়ে) দুহাইমা আবির্ভূত হবে। (তখন) নাশফ্ নিক্ষেপ করা হবে। দ্বিতীয় বারে রাদফ্ (অগ্নী শীলা) নিক্ষেপ করা হবে। তৃতীয়ত পর্যায়ে ঘন কালো অন্ধকার (রূপে এক ফিতনা আগমন করবে যা) কেয়ামত পর্যন্ত (সময়ের পূর্বে আল্লাহ যতদিন চান থাকবে।) সে সময় জাহেলিয়াতের হত্যার ন্যায় হত্যা (সংঘটিত) হবে। *
-       (তাসহিকাতুল মুহাদ্দিসীন, আসকারী- ১/৩২৭; তারিখে ইবনে মুয়াইয়েন- ১/৩২৭)
-       * এখানে ফিতনায়ে দুহাইমাতে প্রথমে নাশফ এবং পরেই রাদফ নিক্ষেপ এর কথা বলা হয়েছে। এর অর্থ ১। تَرْمِي بِالنَّشَفِ নাশফ নিক্ষেপ করা হবে। النَّشْفُ (নাশফ্)-এর এক অর্থ কালো পাথড় যা দিয়ে হাম্মামে গা পরিষ্কার করা হয়। [তাজুল আরুস ২৪/৪০৬, আল-ফায়েক- ১/৪২২] এটি দিয়ে এরকম বুঝায় যে তখন মুসলীম উম্মাহর উপরে النَّشْفُ (নাশফ্) নিক্ষেপ তথা যুদ্ধাস্ত্রের বুলেট, বোমা বা মিসাইল নিক্ষেপ হবে, যা দেখতেও অনেক সময় কালোই দেখায়।
২। ترمي بالرضف রাযফ্ (অগ্নী শীলা) নিক্ষেপ করা হবে। الرَّضْفُ (রাযফ্)-এর এক অর্থ আগুনে গরম/দগ্ধ হওয়া পাথর/শীল। [আল-ফায়েক- ১/৪২২, ৪৮০] এটি দিয়ে যে অগ্নি নিক্ষেপ বুঝায় তা সহজেই বুঝা যায়, আর এটি পারমাণবিক বোমাকেই উদ্দেশ্য করে।

হাদিসে স্পষ্টই বলা রয়েছে, যা এ উম্মতের কাউকে এক চড় না দিয়ে ছাড়বে না। এটিই হবে এই বিশ্বযুদ্ধের মাধ্যমে।

৬.১৫.১ বিশ্বযুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি থেকে কারা বাঁচতে পারবে?

আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, রসূল বলেছেন, যখন পৃথিবীতে অন্যায় অনাচার প্রকাশ পাবে, তখন আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াবাসীদের উপর তার বিপদ পাঠাবেন। আমি বললাম, তাদের মধ্যে কি আল্লাহ তায়ালার অনুসরণকারীরা থাকবে? উত্তরে তিনি বললেন, হ্যাঁ। অতঃপর তারা (মুমিনরা) আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহ পাবে।
-       (সহীহ, আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ, পথিক প্রকাঃ ১৭৩৩; কিতাবুস সুন্নাহ ৪৩৬৮)

...এরপর লোকেরা এমন এক ব্যক্তির নেতৃত্বের উপর একমত হবে, যে দুর্বল চিত্ত ও লেংড়া হবে। (তার শাসনকাল দীর্ঘ হবে না) (সংক্ষিপ্ত) *
-       (সহীহ, সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত/ আলবানী একাঃ) ৪২৪৩ [ইঃ ফাঃ ৪১৯৫]; মিশকাত হাঃ একাঃ ৫২৯৩; সিলসিলাতুস সহীহাহ ৯৭২; মুসনাদে আহমাদ ৬১৬৮ (২/১৩৩); মুসতাদরাকে হাকিম ৪/৪৬৭)
-       * এই চরম ফিতনাই হচ্ছে মাহদীর আগমনের আগের মহামারী, দুর্ভিক্ষ ও যুদ্ধ-বিগ্রহ। এতে ৩য় বিশ্বযুদ্ধও অন্তর্ভুক্ত। এই ফিতনার কারণে পৃথিবীর ৩ ভাগের ২ ভাগ মানুষই মারা যাবে।

হাদিসে বলা হয়েছে যে, মুসলিমরা এক দুর্বল চিত্ত ও লেংড়া ব্যক্তির উপর ক্ষমতা অর্পণে তথা নেতৃত্বে একমত হবে। এরপরই ফিতনায়ে দুহাইমা তথা সারা বিশ্বব্যাপী ফিতনা-ফাসাদ, যুদ্ধ-বিগ্রহ দেখা দিবে। যা এ উম্মতের কাউকে এক চড় না দিয়ে ছাড়বে না। এরপর লোকেরা যখন বলাবলি করতে থাকবে যে, ফিত্‌নার সময় শেষ হয়ে গেছে, তখন তা আরো বৃদ্ধি পাবে (অর্থাৎ দিন দিন তা বাড়তেই থাকবে)। তখন এমন অবস্থার সৃষ্টি হবে, সকালে যে মুমিন থাকবে, সে সন্ধ্যায় কাফির হয়ে যাবে। এ সময় লোকেরা বিভিন্ন দুর্গে আশ্রয় গ্রহণ করবে। আর মুসলিমরা যে দুর্গে অবস্থান করবে, সেখানে কোন মুনাফিক থাকবে না এবং যেখানে মুনাফিকরা থাকবে, সেখানে কোন মুমিন লোক থাকবে না।

তাহলে হাদিস থেকে জানতে পারলাম সেই দুর্বল চিত্ত ব্যক্তির উপর মুসলিমরা জামায়াত বদ্ধ হওয়ার পর বিভিন্ন দিকে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে, ফিতনায়ে দুহাইমা শুরু হবে, মুসলিম-মুনাফিক আলাদা হয়ে যাবে। বিভিন্ন ফিতনা দেখা দিবে আর অনেকগুলো ফিতনার মধ্যে একটা হচ্ছে ৩য় বিশ্ব যুদ্ধ। তাহলে দেখা যাচ্ছে মুসলিমরা যখন ইমাম মাহমুদ এর নেতৃত্বে জামায়াতবদ্ধ হয়েছে তখন তারা পরিকল্পনা ও আল্লাহর সাহায্যের মাধ্যমে নিরাপদ ভূমিতে থাকবে। বলা হয়েছে, লোকেরা বিভিন্ন দুর্গে আশ্রয় গ্রহণ করবে। আর মুসলিমরা যে দুর্গে অবস্থান করবে, সেখানে কোন মুনাফিক থাকবে না এবং যেখানে মুনাফিকরা থাকবে, সেখানে কোন মুমিন লোক থাকবে না।

সামনে হিন্দের যুদ্ধ ও তৎকালীন দুর্ভিক্ষ, এরপর ৩য় বিশ্বযুদ্ধ ও তার পরের চরম দুর্ভিক্ষ ও ধোঁয়ার আযাব এরপর আবার জাহিলিয়াতের মতো হত্যাকাণ্ড শুরু হবে। এতগুলো বিষয় থেকে কোন মানুষের পৃথিবীতে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কতটা কম হতে পারে তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু মুমিনদেরকে আল্লাহ এই সকল বিপদাপদ থেকে বাচিয়ে রাখবেন এবং মুনাফিক ও কাফেরদেরকে এগুলোর মাধ্যমে চরম শাস্তি দিবেন।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ