৬.৪০ পৃথিবীতে আবারো আল্লাহর রহমত ও বরকত

 এরপর তো সবাই জানে, মাহদীর উছিলায় সারা পৃথিবীতে মুসলমানদের নেতৃত্ব চলবে। কারো কোনো অভাব-অভিযোগ থাকবেনা। সুখ শান্তি ভারে উঠবে। আর এই সময় ইমাম মাহমুদ হাবিবুল্লাহ ও সাহেবে কিরান হিন্দুস্তান শাসন করবে মাহদীর প্রতিনিধি হিসেবে। মানসুর ও শুয়াইব ইবনে ছালেহ, ইমাম মাহদীর বিশেষ সহচর হবে। তারাও নির্দিষ্ট ভূখণ্ড শাসন করতে থাকবেন।

সহীহ হাদীছের বিবরণ থেকে অবগত হওয়া যায় যে, আখেরী যামানায় ইমাম মাহদীর আত্মপ্রকাশ কিয়ামতের সর্বপ্রথম বড় আলামত। তিনি আগমণ করে এই উম্মাতের নের্তৃত্বের দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। ইসলাম ধর্মকে সংস্কার করবেন এবং ইসলামী শরীয়তের মাধ্যমে বিচার-ফয়সালা করবেন। পৃথিবী হতে জুলুম-নির্যাতন দূর করে ন্যায়-ইনসাফ দ্বারা তা ভরে দিবেন। উম্মতে মুহাম্মাদী তাঁর আমলে বিরাট কল্যাণের ভিতর থাকবে।

হযরত কাব (রা:) হতে বর্ণিত যে, হযরত কাতাদা (রা:) বলেন উত্তম মানুষ হল মাহদীর সাহায্যকারী ও তার বাইয়াত গ্রহণকারী। দুই কূফার, ইয়ামানের অধিবাসীদের, ও সিরিয়ার সূফী সাধকদের থেকে। তার সামনে থাকবে হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম। তাদের পিছনে থাকবে মিকাঈল আলাইহিস সালাম। তারা হল আল্লাহ তাআলার সৃষ্টিতে প্রিয় সৃষ্ট। আল্লাহ তআলা যুদ্ধ বিগ্রহ, অন্ধকারতা দূর করে দিবেন। আর পৃথিবী নিরাপদ হবে (শান্তি ফিরে আসবে)। এমনকি একজন মহিলা পাঁচ জন মাহিলার মাঝে হজ্ব করবে, আর তাদের সাথে কোন পুরুষ থাকবে না। তারা আল্লাহ তাআলাকে ব্যতীত আর কাউকে ভয় পাবে না। যমিন তার প্রবৃদ্ধিতা দিবে। আসামান তার বরকত দিবে।
-       (আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ১০৩০ [পথিক প্রকা: ১০২৮; তাহকীক: যঈফ])

ইমাম ইবনে কাছীর (রঃ) বলেনঃ তখন ফল-ফলাদীতে প্রচুর বরকত হবে, মানুষের সম্পদ বৃদ্ধি পাবে, ইসলাম বিজয়ী হবে, ইসলামের শত্রুরা পরাজিত হবে এবং সকল প্রকার কল্যাণ বিরাজ করবে।
-       (নিহায়া, অধ্যায়ঃ আল-ফিতান ওয়াল মালাহিম, ১/৩১)

(মাহদীর সময়) বিশ্বে কেবল ইসলামের শাসনকর্তৃত্ব ছাড়া আর কিছুই থাকবে না। তখন পৃথিবী রূপালী ফলকের মতো আলোকোজ্জ্বল হয়ে যাবে।
-       (আল মালাহিম ওয়াল ফিতান পৃ. ৬৬)

যুহায়র ইবনু হারব ও আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ..... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, শীঘ্রই ইরাকবাসীরা না খাদ্যশস্য পাবে না দিরহাম পাবে। আমরা প্রশ্ন করলাম, কি কারণে এ বিপদ সংঘটিত হবে? তিনি বললেন, অনারবদের কারণে। তারা তা (খাদ্যশস্য বা দিরহাম) দেয়া বন্ধ করে দিবে। তিনি পুনরায় বললেন, অচিরেই সিরিয়াবাসীদের নিকট কোন দীনার আসবে না এবং কোন খাদ্যশস্যও আসবে না। আমরা জিজ্ঞেস করলাম, এ বিপদ কোন দিক থেকে আবির্ভাব হবে? তিনি বললেন, রোমের দিক থেকে। অতঃপর তিনি কিছুক্ষণ নীরব থেকে বললেন, রসূলুল্লাহ বলেছেনঃ আমার উম্মাতের শেষভাগে একজন খলীফা হবে, সে হাত ভরে ভরে ধন-সম্পদ দান করবে, গুণে গুণে দিবে না। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আবু নাযরাহ ও আবুল আলাকে প্রশ্ন করলাম, আপনাদের ধারণায় ইনি কি খলীফা উমার ইবনু আবদুল আযীয? তারা উত্তরে বললেন, না।
-       (সহীহ, সহীহুল মুসলিম হাঃ একাঃ ৭২০৭-(৬৭/২৯১৩) [ইঃ ফাঃ ৭০৫১, ইঃ সেঃ ৭১০৭])
-       * হাদিসে বর্ণিত খলীফা দিয়ে ইমাম মাহদীকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে। (আল্লাহু আলাম)

নাসর ইবনু আলী আল জাহযামী ও আলী ইবনু হুজর আস্ সাদী (রহঃ) ..... আবূ সাঈদ (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ বলেছেনঃ তোমাদের খলীফাগণের মধ্যে একজন খলীফা এমন হবে, যে হাত ভরে ভরে দান করবে এবং মালের কোন গণনাই করবে না। ইবনু হুজর (রহঃ) এর রিওয়ায়াতে يَحْثُو الْمَالَ এর স্থলে يَحْثِي الْمَالَ বর্ণিত আছে (অর্থ একই)।
-       (সহীহ, সহীহুল মুসলিম হাঃ একাঃ ৭২০৯-(৬৮/২৯১৪) [ইঃ ফাঃ ৭০৫৩, ইঃ সেঃ ৭১০৮])
-       * শেষ জামানায় অনেক খলীফা হবেন, হাদিস থেকে ঈসা (আঃ) সহ ৫ জনের ব্যাপারে জানা যায় যারা খলীফা বা শাসক হবেন। একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, যখন তিনি (রসূল ) ইমাম মাহদীর কথা বলেন তখন বলেন, আমার বংশ থেকে। আর যখন অন্য কারো কথা বলেন তখন বলেন, আমার উম্মতের মধ্য থেকে বা তোমাদের মধ্য থেকে। তবে কিছু সময় তোমাদের মধ্যে থেকে বলাও ইমাম মাহদীকেই বুঝায়। (আল্লাহু আলাম)

যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... আবু সাঈদ ও জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রা:) থেকে বর্ণিত। তারা বলেন, রসূলুল্লাহ বলেছেনঃ আখিরী যুগে এমন এক খলীফার আগমন ঘটবে যে, সে ধন-সম্পদ দান করবে কিন্তু কোন প্রকার গণনা করবে না।
-       (সহীহ, সহীহুল মুসলিম হাঃ একাঃ ৭২১০-(৬৯/২৯১৩-২৯১৪) [ইঃ ফাঃ ৭০৫৪, ইঃ সেঃ ৭১০৯]; রিয়াযুস স্বা-লিহীন তাঃ পাঃ ১৭/১৮৩৩ [আন্তঃ ১৮২৪]; আহমাদ ১০৬২৯, ১০৯৪৫, ১১০৬৪, ১১১৮৭, ১১৫০৪, ১১৫২৯, ১৩৯৯৭, ১৪১৫৭)

জাবির (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ বলেছেন: শেষ যুগে এমন এক খলীফাহ (ইমাম) হবেন যিনি ধন-সম্পদ বণ্টন করবেন আর তা গণনাও করবেন না।

অপর এক বর্ণনায় আছে, তিনি বলেছেন, আমার উম্মতের শেষ যুগে এমন এক খলীফাহ হবেন যিনি মুষ্টি ভরে ধন-সম্পদ বিতরণ করবেন এবং গুণে গুণে দান করবেন না।
-       (সহীহ, মিশকাত হাঃ একাঃ ৫৪৪১; মুসনাদে আহমাদ ১১৩৫৭; সহীহুল জামি ৮১৫০; আবু ইয়া'লা ১২১৬; আল মুসতাদরাক লিল হাকিম ৮৪০১)

আবূ ইসহাক (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আলী (রা:) বলেছেন, আর তিনি তার ছেলে হাসানের প্রতি দৃষ্টিপাত করে বলেছেন, নিশ্চয়ই আমার এই ছেলেকে নবী যেরূপ নেতা আখ্যায়িত করেছেন, অচিরেই তার বংশ থেকে জনৈক ব্যক্তি আবির্ভূত হবে। তোমাদের নবী -এর নামে তার নাম হবে, স্বভাব-চরিত্রে তাঁর মতো; কিন্তু গঠন আকৃতি অনুরূপ হবে না। অতঃপর ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, সে পৃথিবীকে ন্যায় বিচারে ভরে দিবে।
-       (যঈফ, সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত/ আলবানী একাঃ) ৪২৯০ [ইঃ ফাঃ ৪২৪০])

মহানবী বলেছেন, মাহ্দীর যুগে আমার উম্মত এমন নেয়ামত লাভ করবে যে, তারা পূর্বে কখনই তা লাভ করে নি। আকাশ থেকে তাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষিত হবে এবং তখন পৃথিবীর বুকে সব ধরনের উদ্ভিদই জন্মাবে।
-       (ইবনে হাম্মাদের হস্তলিখিত পাণ্ডুলিপি, পৃ. ৯৮)

তিনি আরো বলেছেন যে, তাঁর উম্মত তাঁর (মাহ্দী) কাছে এমনভাবে আশ্রয় নেবে যেমনভাবে মক্ষীরাণীর কাছে মৌমাছিরা আশ্রয় নিয়ে থাকে। তিনি পৃথিবীকে যেভাবে তা অন্যায়-অবিচার ও বৈষম্য দিয়ে পূর্ণ হয়ে যাবে ঠিক সেভাবে ন্যায়বিচার দিয়ে পূর্ণ করে দেবেন। আর সমগ্র মানব জাতি ঠিক তাদের আদি সমাজের মতো হয়ে যাবে। তিনি কোন ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগ্রত করবেন না এবং কোন রক্ত ঝরাবেন না (অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করবেন না)।
-       (ইবনে হাম্মাদের হস্তলিখিত পাণ্ডুলিপি, পৃ. ৯৯)

মহানবী আরো বলেছেন: আসমান ও যমীনের বাসিন্দারা তার প্রতি সন্তুষ্ট হবে। আকাশ বৃষ্টি বর্ষণ করার ব্যাপার কার্পণ্য করবে না এবং যমীনেও উদ্ভিদ, বৃক্ষ ও তরুলতা জন্মানোর পথে কোন বাধা থাকবে না অর্থাৎ পৃথিবী বৃক্ষ, তরুলতা, ফুলে-ফলে ভরে যাবে। এর ফলে জীবিতরা আকাঙ্ক্ষা করতে থাকবে, হায় যদি এ সব নেয়ামত ভোগ করার জন্য মৃতরা জীবিত হতো।
-       (ইবনে হাম্মাদের হস্তলিখিত পাণ্ডুলিপি, পৃ. ৯৯)

হযরত আবু বাসির (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, জাফর সাদিক (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, মাহদী প্রকাশের সময় কোন অন্ধকার থাকবে না। সকল মানুষই আলোকিত হবে। আবু বাসির (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, তারপর তিনি সূরা বনী ইসরাইলের একাশি নম্বর আয়াত পাঠ করতে থাকলেন।
-       (আস সুনানু কিতাবুল ফিরদাউস ৭৬৯)

হযরত হিশাম ইবনে আব্দুর রহমান হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আমার নিকট ঐ ব্যক্তি বর্ণনা করেছে যে, হযরত আলী (রা:) কে বলতে শুনেছেন যে, যখন সুফিয়ানী মাহদীর দিকে সৈন্য প্রেরণ করবে তখন খোলা প্রান্তর তার সৈন্য দল নিয়ে ধ্বসে যাবে। এবং এ খবর সিরিয়াবাসীদের নিকট পৌছবে। তখন তারা তাদের খলীফাকে বলবে, মাহদী বের হয়ে গেছে। সুতরাং তার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করুন। এবং তার আনুগত্যে প্রবেশ করুন। অন্যথায় আমরা আপনাকে হত্যা করবো। ফলে সে বাইয়াত গ্রহণের জন্য প্রতিনিধি প্রেরণ করবে। আর মাহদী সফর করবে এমনকি সে বাইতুল মুকাদ্দাসে অবতরণ করবে। আর গুপ্ত সম্পদগুলো তার দিকে চলে যাবে। আর আরবী, আজমী (অনারবী), যুদ্ধে লিপ্ত মানুষ, রোম আর অন্যান্যরা কোন যুদ্ধ ছাড়াই তার অনুগত্যে প্রবেশ করবে। এমনকি কুসতুনতুনিয়া ও এছাড়াও অন্যান্য জায়াগায় মসজিদ স্থাপিত হবে। আর এর পূর্বে তার পরিবার থেকে পূর্বাঞ্চল হতে এক ব্যক্তি বের হবে। যে তার কাঁধে আট মাস তরবারী বহন করবে। সে যুদ্ধ করবে, অঙ্গ বিকৃতি করবে, এবং বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে অগ্রসর হবে। সে সেখানে পৌছানোর পুর্বেই মারা যাবে।
-       (আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ১০০৯ [পথিক প্রকা: ১০০৭; তাহকীক: যঈফ])

হযরত কাব (রা:) হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আমি আশা রাখি যে, আমি আরাবের গনিমত পাবো। আর তা হলো কালবের গনিমত। সুতরাং সত্যিকারে বঞ্চিত/ক্ষতিগ্রস্ত হল ঐ ব্যক্তি যে কালবের দিনে বঞ্চিত/ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
-       (আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ১০১০ [পথিক প্রকা: ১০০৮; তাহকীক: যঈফ])

হযরত জাফর ইবনে সিয়ার শামী হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন যে মাহদীকে প্রত্যাখ্যান করবে সে অত্যাচারীর (হিসেবে) কাছে পৌছবে। এমনকি মানুষের মাড়ির দাতের নীচে যদি কিছু থেকে থাকে অপসারণ করবে যাতে তার কাছে ফিরে আসে।

অন্য অনুবাদে এসেছে- মাহদী অত্যাচারকে এমনভাবে প্রতিহত করবেন যে, মানুষের মাড়ির দাতের নীচে যদি কিছু থেকে থাকে, তাও তিনি অপসারণ করবেন এবং হকদারের নিকট তা ফিরিয়ে দিবেন।
-       (আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ১০২৪ [পথিক প্রকা: ১০২২; তাহকীক: যঈফ])

হযরত কাব (রা:) হতে বর্ণিত যে, হযরত কাতাদা (রা:) বলেন উত্তম মানুষ হল মাহদীর সাহায্যকারী ও তার বাইয়াত গ্রহণকারী। দুই, কূফার, ইয়ামানের অধিবাসীদের ও সিরিয়ার আবদাল-বুজুর্গ থেকে। তার সামনে থাকবে হযরত জীবরাঈল আলাইহিস সালাম। তাদের পিছনে থাকবে মিকাঈল আলাইহিস সালাম। তারা হল আল্লাহ তাআলার সৃষ্টিতে প্রিয় সৃষ্ট। আল্লাহ তআলা যুদ্ধ বিগ্রহ, অন্ধকারতা দূর করে দিবেন। আর পৃথিবী নিরাপদ হবে। (শান্তি ফিরে আসবে।) এমনকি একজন মহিলা পাঁচ জন মাহিলার মাঝে হজ্ব করবে, আর তাদের সাথে কোন পুরুষ থাকবে না। তারা আল্লাহ তাআলাকে ব্যতীত আর কাউকে ভয় পাবে না। যমিন তার প্র্রবৃদ্ধিতা দিবে। আসামান তার বরকত দিবে।
-       (আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ১০৩০ [পথিক প্রকা: ১০২৮; তাহকীক: যঈফ])

হযরত মাতার হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন তার নিকট হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয আলোচনা করলেন। অতঃপর বললেন আমাদের নিকট এ খবর পৌছেছে যে, মাহদী এমন কিছু করবেন যা উমর ইবনে আব্দুল আযীযও করে নাই। আমরা বললাম সেটা কি? তিনি বললেন তার নিকট এক ব্যক্তি আসবে অতঃপর তাকে কাছে (কিছু) চাইবে। অতঃপর সে বলবে তুমি বাইতুল মালে (রাষ্ট্রিয় কোষাগারে) প্রবেশ কর এবং গ্রহণ কর। অতঃপর সে সেখানে প্রবেশ করবে এবং গ্রহণ করবে। অতঃপর সে সেখান থেকে বের হবে। আর মানুষ তাকে দেখবে যে, সে পরিতৃপ্ত। (মানুষ দেখার কারণে সে) লজ্জিত হবে। এবং তার দিকে ফিরে আসবে এবং তাকে বলবে আমাকে আপনি যা দিয়েছেন তা ফিরিয়ে নিন। অতঃপর সে অস্বীকৃতি জানাবে এবং বলবে, আমি শুধু দেই, গ্রহণ করি না।
-       (আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ১০৩৩ [পথিক প্রকা: ১০৩১; তাহকীক: যঈফ])

হযরত কাতাদা (রা:) হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন রসূল বলেন সে (মাহদী) খুঁজে গচ্ছিত সম্পদ বের করবে। এবং মাল সম্পদ বন্টন করে দিবে। আর ইসলামকে তার পাশ্ববর্তীর সাথে সাক্ষাত করাবে।
-       (আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ১০৩৭ [পথিক প্রকা: ১০৩৫; তাহকীক: যঈফ])

হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা:) রসূল হতে বর্ণনা করেন যে, রসূল বলেন সে এমন ভাবে মাল সম্পদ ছড়াবে। (মাল সম্পদ বন্টন করবে।) যে, বন্টনের ক্ষেত্রে গণনা করবে না। সে সারা পৃথিবীকে ন্যায় বিচার দ্বারা পরিপূর্ণ করে দিবে যেমনিভাবে সারা পৃথিবীতে অত্যাচার ও নিপিড়ন ভরে গিয়েছিল।
-       (আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ১০৩৯ [পথিক প্রকা: ১০৩৭; তাহকীক: যঈফ])

হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা:) রসূল সা হতে বর্ণনা করেন যে, রসূল বলেন মাহদীর সময়ে আমার উম্মতকে এমন নেয়ামত দেওয়া হবে যে, ঐরূপ নেয়ামত আর কখনো দেওয়া হয় নাই। আকাশ প্রচুর বর্ষণ করবে। আর যমিন ফসল উৎপন্ন করবে না। তবে যা বের করে। মাল সম্পদ হবে পদদলিতের মত। একজন লোক দাঁড়াবে এবং বলবে- হে মাহদী! আমাকে দাও। অতঃপর সে বলবে, গ্রহণ কর।
-       (আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ১০৪৮ [পথিক প্রকা: ১০৪৬; তাহকীক: যঈফ])

হযরত আবু মুহম্মাদ আহলে মাগরিব এর এক ব্যক্তি হতে বর্ণনা করে বলেন যে, যখন মাহদী বের হবে। তখন আল্লাহ তাআলা বান্দাদের অন্তরে ধনাঢ্যতা ঢেলে দিবেন। এমনকি মাহদী বলবে. কে মাল চায়? অর্থাৎ কার মাল সম্পদের প্রয়োজন। তখন তার নিকট একজন ব্যতীত কেউ আসবে না। সে এসে বলবে, আমি (আমার মাল সম্পদের প্রয়োজন)। অতঃপর তিনি বলবেন তুমি নিক্ষেপ কর। অতঃপর সে নিক্ষেপ করবে। অতঃপর সে উহা তার পিঠে বহন করবে। এমনকি যখন সে আসবে তখন মানুষ দূরে সরে যাবে। সে বলবে তোমরা কি আমাকে এখানে সব থেকে খারাপ মনে করছ? অতঃপর সে ফিরে আসবে। এবং তাকে মাল সম্পদ ফিরিয়ে দিবে। অতঃপর বলবে তুমি তোমার মাল রাখ। এতে আমার কোন দরকার নেই।
-       (আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ১০৫১ [পথিক প্রকা: ১১৪৮; তাহকীক: যঈফ])



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ