৬.৫৪ দাজ্জাল এর অলৌকিক ক্ষমতা

 উকবাহ ইবনু আমর (রা:) হুযাইফাহ রাঃ-কে বললেন, আপনি আল্লাহর রসূল হতে যা শুনেছেন, তা কি আমাদের নিকট বর্ণনা করবেন না? তিনি জবাব দিলেন, আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, যখন দাজ্জাল বের হবে তখন তার সঙ্গে পানি ও আগুন থাকবে। অতঃপর মানুষ যাকে আগুনের মত দেখবে তা হবে মূলতঃ ঠান্ডা পানি। আর যাকে মানুষ ঠান্ডা পানির মত দেখবে, তা হবে আসলে দহনকারী অগ্নি। তখন তোমাদের মধ্যে যে তার দেখা পাবে, সে যেন অবশ্যই তাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে যাকে সে আগুনের মত দেখতে পাবে। কেননা, আসলে তা সুস্বাদু শীতল পানি।

-       (সহীহুল বুখারী তাঃ পাঃ ৩৪৫০ [ইসঃ ফাঃ ৩২০৪ প্রথমাংশ])

হুযাইফাহ (রা:) নবী থেকে বর্ণনা করেন। তিনি দাজ্জাল সম্পর্কে বলেছেনঃ তার সঙ্গে পানি ও আগুন থাকবে। আসলে তার আগুনই হবে শীতল পানি, আর তার পানি হবে আগুন। আবূ মাসঊদ (রা:) বর্ণনা করেন যে, আমিও এ হাদীসটি রসূলুল্লাহ্ থেকে শুনেছি।
-       (সহীহ, সহীহুল বুখারী তাঃ পাঃ ৭১৩০ [আঃ প্রঃ ৬৬৩১; ইসঃ ফাঃ ৬৬৪৫])

মুগীরাহ ইবনু শুবাহ (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী কে দাজ্জালের ব্যাপারে যত বেশি প্রশ্ন করতাম তত আর কেউ করেনি। তিনি আমাকে বললেনঃ তা থেকে তোমার কি ক্ষতি হবে? আমি বললাম, লোকেরা বলে যে, তার সঙ্গে রুটির পর্বত ও পানির নহর থাকবে। তিনি বললেনঃ আল্লাহর নিকট তা খুব সহজ। *
-       (সহীহ, সহীহুল বুখারী তাঃ পাঃ ৭১২২ [আঃ প্রঃ ৬৬২৩; ইসঃ ফাঃ ৬৬৩৭]; সহীহুল মুসলিম ৫২/২২, হাঃ ২৯৩৯ (২১৫২); সুনান ইবনু মাজাহ তাঃ পাঃ ৪০৭৩; রিয়াযুস স্বা-লিহীন তাঃ পাঃ ৯/১৮২৫ [আন্তঃ ১৮১৬]; মিশকাত হাঃ একাঃ ৫৪৯২; মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ ২৬৫৫৫; সহীহ ইবনু হিব্বান ৬৭৮২; আল মু'জামুল কাবীর লিত্ব তবারানী ১৭৩২৬; মুসনাদে আহমাদ ১৭৬৯০, ১৭৭০২, ১৭৭৩৯, ১৮১৯২, ২১৩১৯)
-       * এ সমস্ত হাদীসের মধ্যে দাজ্জালের অস্তিতের সত্যতা সম্পর্কে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের জন্য দলীল রয়েছে যে, সে একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তি। তার মাধ্যমে আল্লাহ বান্দাদের পরীক্ষা করবেন। আল্লাহ তাকে অনেক বিষয়ে শক্তি দেবেন। যেমন কাউকে হত্যার পর জীবিত করার, জমিনের উর্বরতা প্রকাশ, নদী প্রবাহিত করা, জান্নাত-জাহান্নাম দেখানো, জমিনের ধন ভান্ডারের তাকে অনুসরণ করা, আসমানকে বৃষ্টি বর্ষণের আদেশ দিলে আসমান পানি বর্ষণ করবে। জমিনকে শস্য উদ্গত করতে বললে জমিন তা উদ্গত করবে। আর এগুলো সবকিছু আল্লাহর ইচ্ছাতেই হবে। আর তাইতো এরপর যখন তাকে আল্লাহ অক্ষম করে দেবেন, তখন আর ঐ ব্যক্তিকে বা অন্য কাউকে হত্যা করতে সক্ষম হবে না। এরপর তার সব কর্ম বিফল হয়ে যাবে। অবশেষে ঈসা (আঃ) তাকে হত্যা করবেন। এ সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু কিছু খারেজী, মুতাযিলা, ও জাহমিয়া সম্প্রদায় বিরোধিতা করেছে। ফলে তারা তার অস্তিত্বকে অস্বীকার করে এবং সহীহ হাদীসগুলোকে প্রত্যাখ্যান করে। অন্যদিকে জাবরিয়া সম্প্রদায় দাজ্জালের অস্তিত্বের সত্যতা মেনে নিলেও তার অলৌকিক ও অস্বাভাবিক কাজগুলোকে বলে যে, ওগুলোর কোন বাস্তবতা নেই। (ফাতহুল বারী)

সুরায়জ ইবনু ইউনুস (রহঃ) ..... মুগীরাহ ইবনু শুবাহ (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, দাজ্জালের ব্যাপারে নবী এর কাছে আমার চেয়ে বেশি আর কেউ জিজ্ঞেস করেনি। আর তিনি আমাকে বলেছেন, তোমার কি প্রশ্ন? তিনি বলেন, জবাবে আমি বললাম, লোকেরা কথোপকথন করছে যে, তার সাথে রুটি ও গোশতের পর্বত এবং পানির ঝর্ণা থাকবে। তখন নবী বললেনঃ এটা তো আল্লাহর কাছে তার তুলনায় সহজ।
-       (সহীহ, সহীহুল মুসলিম হাঃ একাঃ ৭২৬৯ [ইঃ ফাঃ ৭১১২, ইঃ সেঃ ৭১৬৬])

মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র, মুহাম্মাদ ইবনুল আলা ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ..... হুযাইফাহ্ (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ বলেছেনঃ দাজ্জালের বামচোখ কানা হবে। তার দেহে ঘন পশম হবে। তার সাথে থাকবে জান্নাত ও জাহান্নামের চিত্র। প্রকৃতপক্ষে তার জাহান্নাম জান্নাত হবে এবং তার জান্নাত জাহান্নাম বলে গণ্য হবে।
-       (সহীহ, সহীহুল মুসলিম হাঃ একাঃ ৭২৫৬-(১০৪/২৯৩৪) [ইঃ ফাঃ ৭১০০, ইঃ সেঃ ৭১৫৪])

আবু বকর ইবনু আবু শাইবাহ্ (রহঃ) ..... হুযাইফাহ্ (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ বলেছেনঃ দাজ্জালের সাথে কি থাকবে, এ সম্পর্কে আমি নিশ্চিত অবগত আছি। তার সাথে প্রবাহমান দুটি নহর থাকবে। একটি দৃশ্যত ধবধবে সাদা পানি বিশিষ্ট এবং অপরটি দৃশ্যত লেলিহান অগ্নির মতো হবে। যদি কেউ সুযোগ পায় তবে সে যেন ঐ নহরে প্রবেশ করে যাকে দৃশ্যত অগ্নি মনে হবে এবং চক্ষু বন্ধ করতঃ মাথা অবনমিত করে সে যেন সেটা থেকে পানি পান করে। সেটা হবে ঠাণ্ডা পানি। দাজ্জালের চক্ষু লেপা হবে এবং তার চোখের উপর নখের মতো পুরু চামড়া থাকবে এবং উভয় চোখের মাঝখানে পৃথক-পৃথকভাবে কাফির লেখা থাকবে। শিক্ষিত অশিক্ষিত নির্বিশেষে সকল মুমিন ব্যক্তি এ লেখা পাঠ করতে পারবে।
-       (সহীহ, সহীহুল মুসলিম হাঃ একাঃ ৭২৫৭ [ইঃ ফাঃ ৭১০১, ইঃ সেঃ ৭১৫৫])

উবাইদুল্লাহ ইবনু মুআয, মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ..... হুযাইফাহ্ (রা:) এর সূত্রে নবী থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, দাজ্জালের সাথে পানি ও আগুন থাকবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার অগ্নিই হবে সুশীতল পানি এবং তার পানিই হবে অগ্নি। সুতরাং নিজেকে ধ্বংস করো না।
-       (সহীহ, সহীহুল মুসলিম হাঃ একাঃ ৭২৫৮ [ইঃ ফাঃ ৭১০২, ইঃ সেঃ ৭১৫৬])

আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ..... উকবাহ ইবনু আম্‌র ও আবু মাসউদ আনসারী (রা:) থেকে বর্ণিত। রিবাঈ ইবনু হিরাশ (রহঃ) বলেন, আমি উকবাহ ইবনু আমির আবূ মাসউদ আনসারী (রা:) এর সাথে হুযাইফাহ্ ইবনু ইয়ামান (রা:) এর নিকট গেলাম। তারপর উকবাহ (রা:) হুজাইফাহ্ (রা:) কে বললেন, আপনি দাজ্জাল বিষয়ে রসূলুল্লাহ থেকে যা যা শুনেছেন তা আমাদেরকেও শুনান। তিনি বললেন, দাজ্জাল যখন আবির্ভূত হবে তখন তার সাথে পানি ও আগুন থাকবে। কিন্তু মানুষ যেটাকে বাহ্যত পানি দেখবে সেটা হবে দাহনশীল অগ্নি। আর যেটাকে মানুষ বাহ্যত অগ্নি দেখবে সেটা হবে সুমিষ্ট ঠাণ্ডা পানি। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে কেউ এ সময়কাল পায় সে যেন দৃশ্যত যাকে অগ্নি দেখা যাচ্ছে তাতেই প্রবেশ করে। কেননা প্রকৃতপক্ষে সেটা হবে সুমিষ্ট পানি। তারপর হুযাইফার সমর্থন করে উকবাহ্ (রা:) বলেন, আমিও রসূলুল্লাহ থেকে এ হাদীস শুনেছি। (অন্যত্র আছেঃ আবূ মাসঊদ (রা:) বলেন, এ হাদিসটি আমিও [স্বয়ং] রসূলুল্লাহ -কে বলতে শুনেছি।)
-       (সহীহ, সহীহুল বুখারী ৩৪৫০-৩৪৫২, ২০৭৭, ২৩৯১, ৩৪৭৯, ৬৪৮০, ৭১৩০; সহীহুল মুসলিম হাঃ একাঃ ৭২৬০, ৭২৬১-(১০৭/২৫৬০, ২৯৩৪-২৯৩৫) [ইঃ ফাঃ ৭১০৩, ইঃ সেঃ ৭১৫৭]; সুনান নাসায়ী ২০৮০; সুনান ইবনু মাজাহ ২৪২০; মিশকাত হাঃ একাঃ ৫৪৭৩; মুসনাদে আহমাদ ২২৭৪২, ২২৮৪৩, ২২৮৭৫, ২২৯৫৩; দারেমী ২৫৪৬; রিয়াযুস স্বা-লিহীন তাঃ পাঃ ২/১৮১৮ [আন্তঃ ১৮০৯])

মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ..... আবু হুরাইরাহ (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ বলেছেনঃ আমি দাজ্জাল বিষয়ে তোমাদেরকে কি এমন একটি হাদীস বলব না, যা কোন নবী তার কাওমকে অদ্যাবধি বলেননি? শুনো, দাজ্জাল কানা হবে এবং তার সাথে জান্নাত ও জাহান্নাম নামে দুটি প্রতারণার বস্তু থাকবে। সে যাকে জান্নাত বলবে সেটি আসলে হবে জাহান্নাম। দেখো, দাজ্জাল সম্পর্কে আমি তোমাদেরকে ভীতি-প্রদর্শন করছি, যেমন নূহ (আঃ) তার কাওমকে সতর্ক করেছিলেন।
-       (সহীহ, সহীহুল মুসলিম হাঃ একাঃ ৭২৬২-(১০৯/২৯৩৬) [ইঃ ফাঃ ৭১০৫; ইঃ সেঃ ৭১৫৯]; সহীহুল বুখারী তাঃ পাঃ ৩৩৩৮; মিশকাত হাঃ একাঃ ৫৪৭২; সহীহুল জামি ২৫৯১; রিয়াযুস স্বা-লিহীন তাঃ পাঃ ১১/১৮২৭ [আন্তঃ ১৮১৮])

আবূ উবায়দাহ্ ইবনুল জাররাহ (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ - কে বলতে শুনেছি। (রসূল বলেছেন) নূহ আলাইহিস সালাম-এর পরে এমন কোন নবী আগমন করেননি, যিনি স্বীয় জাতিকে দাজ্জাল সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন করেননি। আমিও তদ্রূপ তোমাদেরকে ভীতি প্রদর্শন করছি। তারপর তিনি আমাদেরকে তার বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে বললেন, হয়তো তোমাদের কেউ, যে আমাকে দেখেছে অথবা যে আমার কথা শুনেছে, সে দাজ্জালকে পেতে পারে। তারা প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রসূল। তখন আমাদের অন্তরসমূহের অবস্থা কিরূপ হবে? বললেন, বর্তমানে যেরূপ আছে। অর্থাৎ আজ যেমন তখনো তেমন বা এটা অপেক্ষা শ্রেয়।
-       (যঈফ, মিশকাত হাঃ একাঃ ৫৪৮৬; হিদায়াতুর রুওয়াত ৫/১৩৭; তিরমিযী ২২৩৪; আবূ দাউদ ৪৭৫৬; য'ঈফুল জামি ২০৭৪; মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ ৩৭৪৭৬; মুসনাদে বাযার ১২৮০; মুসনাদে আহমাদ ১৬৯৩; আবূ ইয়া'লা ৮৭৫; আল মুসতাদরাক লিল হাকিম ৮৬৩০; সনদে আবদুল্লাহ ইবনু সুরাকাহ য'ঈফ)

আমি আরো জিজ্ঞাসা করিঃ এরপর কি হবে? তিনি বলেনঃ এরপর দাজ্জাল বের হবে, যার সাথে নহর ও আগুন থাকবে। যে তার আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে, সে অবশ্যই ছওয়াব পাবে এবং তার গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। আর যে তার নহরে নিক্ষিপ্ত হবে, সে অবশ্যই গুনাহ্‌গার হবে এবং তার নেকী বরবাদ হবে। রাবী বলেনঃ আমি বললামঃ এরপর কি হবে? তিনি বললেনঃ এরপর কিয়ামত হবে। (প্রয়োজনীয় অংশ)
-       (সহীহ, সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত/ আলবানী একাঃ) ৪২৪৪ [ইঃ ফাঃ ৪১৯৬]; মুসনাদে আহমাদ)

হাসান ইব্‌ন আমর (রহঃ) .... রিবঈ হিরাশ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা হুযায়ফা এবং আবূ মাসউদ (রা:) একত্রিত হলে, হুযায়ফা (রা:) বলেনঃ দাজ্জালের সঙ্গে যা কিছু থাকবে, এ সম্বন্ধে আমি অবশ্যই তার চেয়ে ভালো জানি। নিশ্চয়ই তার সঙ্গে থাকবে পানির নহর ও আগুনের কুন্ড। অতঃপর তোমরা যেটাকে দেখবে আগুন, মূলত সেটা পানি আর যেটাকে দেখবে পানি, মূলত সেটা আগুন। যে কেউ এর সাক্ষাৎ পাবে, সে যেটাকে আগুন দেখবে, তা যেন পান করে, তাহলেই সে পানি পাবে। রাবী আবূ মাসউদ বদরী (রা:) বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ থেকে এরূপ শুনেছি।
-       (সহীহ, সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত/ আলবানী একাঃ) ৪৩১৫ [ইঃ ফাঃ ৪২৬৪]; বুখারী; মুসলিম)

হযরত আবু উমামা আল বাহেলী (রা:) হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন রসূল বলেন যখন দাজ্জাল বাহির হবে, তখন দাজ্জাল ডানে ধ্বংসজজ্ঞ চালাবে এবং বামেও ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে। হে আল্লাহর বান্দাগণ তোমরা নত হও। কেননা দাজ্জাল সে শুরু করবে। অতঃপর সে বলবে আমি নবী। ( নবী করীম বলেন) অথচ আমার পরে কোন নবী নেই। অতঃপর সে গুণগাণ করবে। অতঃপর সে বলবে আমি তোমাদের রব বা প্রতিপালক। (নবী করীম বলেন) অধচ তোমরা তোমাদের রব বা প্রতিপালককে মৃত্যুর পূর্বে দেখতে পাবে না। আর দাজ্জাল হবে অন্ধ। অথচ তোমাদের রব অন্ধ নন। আর দাজ্জালের দুই চক্ষুর মধ্যখানে কাফের লেখা থাকবে। যা প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তিই পড়তে পারবে। আর দাজ্জালের ফিতনা সমূহ থেকে হল- তার সাথে একটি জান্নাত ও একটি জাহান্নাম থাকবে। (আর বাস্তবতা হল) তার জাহান্নাম হল জান্নাত। আর তার জান্নাত হল জাহান্নাম। সুতরাং যে ব্যক্তি তার জাহান্নাম কর্তৃক নির্যাতিত হয় সে যেন সূরা কাহাফের প্রথমাংশ তেলাওয়াত করে। আর যেন আল্লাহ তালার নিকট সাহায্য কামনা করে যাতে করে দাজ্জালের আগুন বা জাহান্নাম তার উপর ঠান্ডা ও শান্তি দায়ক হয়। যেমনিভাবে আগুণ ঠান্ডা ও শান্তি দায়ক হয়েছিল ইবরাহীম (আ.) এর উপর। আর দাজ্জালের ফিতনা থেকে আরেকটি হল- তার সাথে অনেক শয়তান থাকবে। উক্ত শয়তানগুলি তার জন্য মানুষের আকৃতি ধারণ করবে। অতঃপর দাজ্জাল এক বেদুইন বা গ্রাম্য ব্যক্তির নিকট এসে বলবে (যারা পিতা মাতা মারা গেছে); তুমি বল তো, যদি আমি তোমার পিতা মাতাকে ফিরিয়ে আনি তাহলে কি তুমি আমাকে তোমার রব হিসাবে সাক্ষ্য দিবে। বেদুইন লোকটি উত্তরে বলবে, হ্যাঁ। অতঃপর তর শয়তানগুলি উক্ত বেদুইন লোকের পিতা-মাতার আকৃতি ধারণ করবে। অতঃপর উক্ত শয়তান দুটি বলবে, হে আমার সন্তান তুমি তাকে (দাজ্জালকে) অনুসরণ কর। কেননা সে তোমার রব বা প্রতিপালক। দাজ্জালের আরো ফিতনা হল- একজন মানুষের উপর কব্জা করে নিবে। ফলে তাকে হত্যা করবে এবং জীবিত করবে। এবং তারপর আর ফিরে আসবে না। ঐ মানুষ ব্যতীত অন্য মানুষের উপর কোন কাজ করতে পারবে না। দাজ্জাল বলবে, তোমরা আমার বান্দাকে দেখ, আমি তাকে এখন জীবিত করছি। আর সে ধারণা করে আমি ব্যতীত তার অন্য রব আছে। অতঃপর তাকে জীবিত করবে। অতঃপর দাজ্জাল তাকে বলবে, তোমার রব কে? তার উত্তরে লোকটি বলবে আমার রব হল আল্লাহ। আর তুই আল্লাহর শত্রু দাজ্জাল। আর তার আরেকটি ফিতনা হল- সে এক বেদুইনকে বলবে, তুমি বল তো, যদি আমি তোমার উটকে জীবিত করি তাহলে কি তুমি আমাকে তোমার রব হিসাবে সাক্ষ্য দিবে? উত্তরে লোকটি বলবে, হ্যাঁ। অতঃপর তার জন্য শয়তান তার উটের আকৃতি ধারণ করবে। আর তার আরেকটি ফিতনা হল- সে আকাশকে বৃষ্টির জন্য আদেশ করবে। ফলে আকাশ হতে বৃষ্টি বর্ষণ হবে। আর যমিনকে ফসল উৎপন্নের আদেশ দিবে। ফলে যমিন ফসল উৎপন্ন করবে। আর সে জীবিতদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে,তার তাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে। ফলে তাদের সমস্ত গবাদি পশু ধ্বংস হয়ে যাবে। এবং সে এমনকিছু জীবিতদের পাশ দিয়ে অতিক্রম করবে যারা তাকে সত্যায়ন করবে। তখন সে তাদের জন্য আকাশকে বৃষ্টি বর্ষণের এবং যমিনকে ফসল উৎপন্নের আদেশ দিবে। ফলে তাদের গবাদিপশু গুলি ঐদিন হৃষ্টপুষ্ট হবে। মোটাতাজা হবে। পশুর কোমর লম্বা। এবং পশুর ওলান হবে পরিপূর্ণ বা ভরা।
-       (আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ১৫১৬ [পথিক প্রকা: ১৫১৪; তাহকীক: জাইয়িদ])

হযরত কাব (রা:) হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন যখন দাজ্জাল আরদানে অবস্থান করবে, তখন সে তূর ও ছাবুর পাহাড়কে, এবং জুদী পাহাড়কে ডাকবে। তখন উক্ত পাহাড়গুলি নড়াচড়া করবে আর তা মানুষ দেখতে থাকবে। যেমনিভাবে দুটি ষাঁড় ও ছাগল নড়াচড়া করে। অতঃপর দাজ্জাল উক্ত পাহাড় দুটিকে নিজের জায়গায় আসার আদেশ দিবে।
-       (আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ১৫১৭ [পথিক প্রকা: ১৫১৫; তাহকীক: যঈফ])

আবু উমামা বাহেলি (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূল বলেন, দাজ্জাল দুনিয়ায় কিছুই অবশিষ্ট রাখবে না। সবকিছুই সে শেষ করে দিবে। সে মক্কা মদিনা ব্যতীত সকল এলাকার উপর বিজয় লাভ করবে। কেননা সে মক্কা মদিনার ছিদ্র বা পথসমূহ থেকে কোন ছিদ্র বা পথে আসতে পারবে না। যেই ছিদ্র বা পথ দিয়ে সে আসতে চাইবে, সেখানেই তার সঙ্গে স্বীয় তরবারি নিয়ে প্রস্তুত থাকা ফেরেশতার সঙ্গে সাক্ষাত হবে। এমনকি দাজ্জাল যরিবে আহমারের নিকট এবং অনাবাদী যমিনের শেষ প্রান্তে এবং সুউলের সমষ্টির স্থানে অবস্থান নিবে। অতঃপর মদিনা ও তার অধিবাসীদের নিয়ে তিনবার ঝাঁকি দিবে। যার ফলে কোন পুরুষ মুনাফিক এবং কোন মহিলা মুনাফিক মদিনায় অবশিষ্ট থাকবে না। সকলেই তার দিকে বের হয়ে যাবে। সেদিন মদিনা তার থেকে নাপাকি বা খারাবি শেষ করবে, যেমনিভাবে কিবর (এক ধরনের গাছ) লোহার খারাবি দূর করে। অতঃপর উম্মে শারিক বললেন, ঐসময় মুসলমানগণ কোথায় থাকবে? তিনি বললেন, বাইতুল মুকাদ্দাসে। দাজ্জাল বাহির হবে, অতঃপর তাদেরকে আটকাবে। এমনকি তার নিকট ঈসা আলাইহিস সালামের অবতরণের খবর আসবে। তখন সে পলায়ন করবে।
-       (হাসান, আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ পথিক প্রকাঃ ১৫৬৯; মুসনাদে আহমাদ, হাকেম, তাবারানী থেকেও বর্ণিত)

৬.৫৪.১ দাজ্জাল কর্তৃক এক ব্যক্তিকে হত্যা

আবু সাঈদ খুদরী (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল আমাদের সামনে দাজ্জাল সম্পর্কে এক দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত কথাসমূহের মাঝে তিনি এ কথাও বলেছিলেন যে, মদিনার প্রবেশ পথে অনুপ্রবেশ করা দাজ্জালের জন্য হারাম করে দেয়া হয়েছে। তাই সে মদিনার উদ্দেশে যাত্রা করে মদিনার নিকটবর্তী কোন একটি বালুকাময় জমিতে অবতরণ করবে। তখন তার নিকট এক ব্যক্তি যাবে যে উত্তম ব্যক্তি হবে বা উত্তম মানুষের একজন হবে এবং সে বলবে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, তুমিই হলে সে দাজ্জাল যার সম্পর্কে আল্লাহর রসূল আমাদেরকে অবহিত করেছেন। দাজ্জাল বলবে, আমি যদি একে হত্যা করে পুনরায় জীবিত করতে পারি তাহলেও কি তোমরা আমার ব্যাপারে সন্দেহ করবে? তারা বলবে, না। এরপর দাজ্জাল লোকটিকে হত্যা করে পুনরায় জীবিত করবে। জীবিত হয়েই লোকটি বলবে, আল্লাহর শপথ! আজকের চেয়ে অধিক প্রত্যয় আমার আর কখনো ছিল না। অতঃপর দাজ্জাল বলবে, আমি তাকে হত্যা করে ফেলব। কিন্তু সে লোকটিকে হত্যা করতে আর সক্ষম হবে না।
-       (সহীহ, সহীহুল বুখারী তাঃ পাঃ ১৮৮২ [আঃ প্রঃ ১৭৪৬; ইসঃ ফাঃ ১৭৫৭]; সহীহুল মুসলিম ৫২/২১, হাঃ ২৯৩৮ [হাঃ একাঃ ৭২৬৫-(১১২/২৯৩৮); ইঃ ফাঃ ৭১০৮; ইঃ সেঃ ৭১৬২]; মিশকাত হাঃ একাঃ ৫৪৭৯; সহীহুল জামি ৭৯৯২; মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ২০৮২৪; সহীহ ইবনু হিব্বান ৬৮০১; আস্ সুনানুল কুবরা লিন্ নাসায়ী ৪২৭৫; মুসনাদে আহমাদ ১১৩১৮[১১৩৩৬])

আবূ সাঈদ খুদরী (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন নবী আমাদের কাছে দাজ্জাল সম্পর্কে দীর্ঘ হাদীস বর্ণনা করলেন। তিনি তার সম্পর্কে আমাদেরকে যা কিছু বলেছিলেন, তাতে এও বলেছেন যে, দাজ্জাল আসবে, তবে মদিনার প্রবেশপথে তার প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ থাকবে। মাদ্বীনাহর নিকটবর্তী বালুময় একটি স্থানে সে অবস্থান নিবে। এ সময় তার দিকে এক ব্যক্তি আসবে, যে মানুষের মাঝে উত্তম। কিংবা উত্তম ব্যক্তিদের একজন। সে বলবে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুই সেই দাজ্জাল, যার সম্পর্কে রসূলুল্লাহ্ আমাদের কাছে তাঁর হাদীস বর্ণনা করেছেন। তখন দাজ্জাল বলবে, তোমরা দেখ- আমি যদি একে হত্যা করে আবার জীবিত করে দেই তাহলে কি তোমরা এ ব্যাপারে সন্দেহ করবে? লোকেরা বলবে, না। এরপর সে তাকে হত্যা করবে এবং আবার জীবিত করবে। তখন সে লোকটি বলবে, আল্লাহর কসম! তোর সম্পর্কে আজকের মত দৃঢ় বিশ্বাসী ছিলাম না। তখন দাজ্জাল তাকে হত্যা করতে চাইবে। কিন্তু সে তা করতে পারবে না।
-       (সহীহ, সহীহুল বুখারী তাঃ পাঃ ৭১৩২ [আঃ প্রঃ ৬৬৩৩; ইসঃ ফাঃ ৬৬৪৭])

মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু কুহযায (রহঃ) ..... আবু সাঈদ আল খুদরী (রা:) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ বলেছেন, দাজ্জালের আত্মপ্রকাশের পর কোন এক মুসলিম লোক তার দিকে এগিয়ে যাবে। তারপর পথে অস্ত্রধারী দাজ্জাল বাহিনীর সঙ্গে তার দেখা হবে। তারা তাকে প্রশ্ন করবে, কোথায় যাবে? সে বলবে, আবির্ভূত দাজ্জালের কাছে যাব। তারা তাকে আবারো প্রশ্ন করবে, তুমি কি আমাদের প্রতিপালকের উপর ঈমান আননি? সে বলবে, আমাদের প্রতিপালক গুপ্ত নন। দাজ্জালের লোকেরা তাকে লক্ষ্য করে বলবে, তোমরা তাকে হত্যা করে দাও। তখন তারা একে অপরকে বলবে, আমাদের রব কাউকে তার সামনে নেয়া ব্যতিরেকে হত্যা করতে কি তোমাদেরকে বারণ করেননি? তারপর তারা তাকে নিয়ে দাজ্জালের কাছে যাবে। দাজ্জালকে দেখামাত্রই সে বলবে, হে লোক সকল! এ-তো সেই দাজ্জাল, যার ব্যাপারে রসূলুল্লাহ আমাদেরকে বর্ণনা দিয়েছেন। তারপর দাজ্জাল তার লোকদেরকে আগম্ভক লোকের মাথা ছিন-ভিন্ন করার নির্দেশ দিয়ে বলবে, তাকে ধর এবং তার মাথা ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে দাও। তারপর তার পেট ও পিঠে আঘাত করা হবে। আবার দাজ্জাল তাকে প্রশ্ন করবে, তুমি কি আমার প্রতি ঈমান আনয়ন করবে না। সে বলবে, তুমি তো মাসীহ দাজ্জাল।

বর্ণনাকারী বলেন, তারপর দাজ্জাল তার ব্যাপারে নির্দেশ দিবে। দাজ্জালের হুকুমে মাথা হতে পা পর্যন্ত তাকে করাতে চিরে দু টুকরো করে দেয়া হবে। তারপর দাজ্জাল উভয় টুকরার মধ্যস্থলে দণ্ডায়মান হয়ে তাকে সম্বোধন করে বলবে, উঠো। সে সোজা দাঁড়িয়ে যাবে। এরপর আবারো তাকে জিজ্ঞেস করা হবে, তুমি কি আমার প্রতি ঈমান আনবে না? অতঃপর আগম্ভক ব্যক্তি বলবে, তোমার সম্পর্কে কেবল আমার মাঝে সুস্পষ্ট ধারণা বেড়েই চলবে। তারপর আগম্ভক লোক বলবে, হে লোক সকল! আমার পর দাজ্জাল আর কারো সঙ্গে এমন আচরণ করতে সক্ষম হবে না। এরপর যবাহ করার জন্য দাজ্জাল তাকে পাকড়াও করবে। কিন্তু তার গলা ও ঘাড় তামায় রূপান্তর করা হবে। ফলে দাজ্জাল তাকে যবাহ করতে সক্ষম হবে না। উপায়ন্তর না দেখে দাজ্জাল তখন তার হাত-পা ধরে তাকে নিক্ষেপ করবে। লোকেরা মনে করবে, দাজ্জাল তাকে আগুনে নিক্ষেপ করেছে। বস্তুতঃ সে জান্নাতে নিক্ষিপ্ত হবে। অতঃপর রসূলুল্লাহ বললেন, আল্লাহ রব্বুল আলামীনের কাছে এ লোকই হবে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় শাহাদাতের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত।
-       (সহীহ, সহীহুল মুসলিম হাঃ একাঃ ৭২৬৭ [ইঃ ফাঃ ৭১১০; ইঃ সেঃ ৭১৬৪]; সহীহুল বুখারী ১৮৮২, ৭১২৩; রিয়াযুস স্বা-লিহীন তাঃ পাঃ ৮/১৮২৪ [আন্তঃ ১৮১৫]; মিশকাত হাঃ একাঃ ৫৪৭৬; আবূ ইয়া'লা ১৪১০; সহীহুল জামি ৮০৪৮; মুসনাদে আহমাদ ১০৯২৫, ১১৩৪৩)

হযরত আসমা বিনতে ইয়াযিদ (রা:) হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন একবার রসূল আমার ঘরে ছিলেন। তখন তিনি দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করলেন। এ প্রসঙ্গে বললেন, দাজ্জালের সব থেকে বড় ফিতনা হলো সে এক বেদুইনের নিকট এসে বলবে, বল তো যদি আমি তোমার মৃত উটগুলি জীবিত করি, তাহলে তুমি কি বিশ্বাস করবে যে, আমি তোমার রব? সে বলবে হ্যাঁ, তখন শয়তান তার উটের আকৃতিতে উত্তম স্তন এবং মোটা তাজা কুঁজবিশিষ্ট অবস্থায় সম্মুখে উপস্থিত হবে। অতঃপর দাজ্জাল এমন এক ব্যক্তির নিকট আসবে, যার ভ্রাতা ও পিতা মারা গেছে। তাকে বলবে তুমি বল তো, যদি আমি তোমার পিতা ও ভ্রাতাকে জীবিত করি, তাহলে কি তুমি আমাকে তোমার রব বলে বিশ্বাস করবে না? সে বলবে হ্যাঁ। তখন শয়তান তার পিতা ও ভ্রাতার অবিকল আকৃতি ধারণ করে আসবে। অতঃপর রসূল কোন প্রয়োজনে বাহিরে গেলেন এবং ফিরে আসলেন। এদিকে দাজ্জালের এই সমস্ত তান্ডবের কথা শুনে উপস্থিত লোকেরা ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়লো। আসমা (রা:) বলেন, তখন রসূল দরজার উভয় বাজুতে হাত রেখে বললেন, হে আসমা! কি হয়েছে? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনায় আপনি তো আমাদের কলিজা বাহির করে ফেলেছেন। তখন তিনি বললেন (এতে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নাই। কেননা) সে যদি বাহির হয় আর আমি জীবিত থাকি তখন আমিই দলীল প্রমাণের দ্বারা তাকে প্রতিরোধ করবো, আর যদি আমি জীবিত না থাকি তখন প্রত্যক মুমিনের সাহায্যকারী হিসেবে আল্লাহ তালাই হবেন আমার স্থলাভিষিক্ত। আসমা রাযিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ আল্লাহর কসম আমাদের অবস্থা হল আমরা আটার খামির তৈরী করি এবং রুটি প্রস্তুত করে অবসর হতে না হতেই পুনরায় ক্ষুধায় অস্থির হয়ে পড়ি। সুতরাং সেই দুর্ভিক্ষের সময় মুমিনদের অবস্থা কিরূপ হবে? উত্তরে তিনি বললেন, তাদের ক্ষুধা নিবারণের জন্য সেই বস্তুই যথেষ্ট হবে যা আকাশবাসীদের জন্য যথেষ্ট হয়ে থাকে। আর তা হলো তাসবীহ ও তাকদীস। (অর্থাৎ, আল্লাহর যিকর ও পবিত্রতা বর্ণনা করা)।
(আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ১৫১৪ [পথিক প্রকা: ১৫১২; তাহকীক: যঈফ])


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ