৩.১২ ইমাম মাহদী এর আগে আগমনকারী কারা

 আল্লাহর খলীফা ইমাম মাহদী যার নাম মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ যিনি দুনিয়াতে ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠা করবেন। পুরো দুনিয়াতে ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে তাঁর থাকবে বীরযোদ্ধা সৈন্যদল এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু তাঁর সেই সাহায্যকারী দলের ব্যাপারে আমরা কতটুকু জানি? তাঁর আত্মপ্রকাশের আগে আর কারা আগমন করবে হাদিস অনুযায়ী? এগুলো আমাদের অবশ্যই জেনে রাখা দরকার। কারণ তাহলেই আমরা ইমাম মাহদী এর সেনাদলের অন্তর্ভুক্ত হতে পারবো। ইমাম মাহদী এর সাহায্যার্থে মোট তিনটি দলের আত্মপ্রকাশ হবে। হিন্দুস্তান থেকে ইমাম মাহমুদ, তার সহচর শামীম বারাহ ও তাদের দলের আত্মপ্রকাশ হবে সবার প্রথমে। এরপর সুফিয়ানির উত্থানের সাথে একই সময়ে ইমাম মানসূর, তার সহচর হারিস ইবনু হাররাস ও তাদের দলের আত্মপ্রকাশ হবে। আর শুয়াইব ইবনে সালেহ এর আত্মপ্রকাশ এবং তিনি একক ভাবে একটি দল পরিচালনা করবেন। আর ইনি ইমাম মাহদী এর সহচর। ইমাম মাহদী নিজে কোন সৈন্যদল পরিচালনা করবেন না।

হিন্দুস্তান থেকে আত্মপ্রকাশকারী/সাহায্যকারী দল

হিন্দুস্তান থেকে ইমাম মাহমুদ এবং তাঁর সহচর শামীম বারাহ এর আত্মপ্রকাশ হবে যারা ইমাম মাহদী এর আগে আগমনকারী, হিন্দুস্তানের যুদ্ধ তাদের নেতৃত্বে হবে এবং হিন্দুস্তান মুসলিমদের দখলে এনে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করবেন। হিন্দুস্তান থেকে ইরান পর্যন্ত তারা জয় করবেন। এরপর তাঁরা খোরাসানী উপাধি পাবে এবং সেই দলটি দুটি ভাগ হয়ে দুটি দল হবে। তারা কালো পতাকা নিয়ে বের হবে। একদল তারা বাইতুল মুকাদ্দাস বিজয় করতে ছুটে যাবেন আর অন্য দল ইমাম মাহদী এর সাহায্যার্থে আরবের দিকে গমন করবেন। হাদিসে এসেছে-

হযরত ফিরোজ দায়লামী (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আখেরী জামানায় ইমাম মাহদীর পূর্বে ইমাম মাহমুদ এর প্রকাশ ঘটবে। সে বড় যুদ্ধের শক্তির যোগান দিবে। তাঁর জামানায় মহাযুদ্ধের (৩য় বিশ্বযুদ্ধে) বজ্রাঘাতে (আনবিক অস্ত্রে) বিশ্বের অধ্বঃপতন হবে এবং বিশ্ব এই সময়ে ফিরে আসবে (অর্থাৎ আধুনিকতা ধ্বংস হয়ে প্রাচীন যুগে ফিরবে)। সে তাঁর সহচর বন্ধু সাহেবে কিরান শামীম বারাহকে সাথে নিয়ে যুদ্ধ পরিচালনা করবে, যে বেলাল ইবনে বারাহ-এর বংশোদ্ভুত হবে। তোমরা তাদের পেলে জানবে ইমাম মাহদীর প্রকাশের সময় হয়েছে।
-       (আসরে যুহরি ১৮৭ পৃঃ; তারিখে দিমাশাক ২৩৩ পৃঃ; ইলমে তাছাউফ ১৩০ পৃঃ; ইলমে রাজেন ৩১৩ পৃঃ; বিহারুল আনোয়ার ১১৭ পৃঃ)

হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা:) বলেছেন, শেষ জামানায় ইমাম মাহমুদ ও তাঁর বন্ধু সাহেবে কিরানের প্রকাশ ঘটবে। আর তাদের মাধ্যমে মুশরিকদের উপর মুসলমানদের বড় বিজয় আসবে। আর তা হবে মাহদীর আগমনের পূর্বে।
-       (আস-সুনানু কিতাবুল ফিরদাউস ৮৭২; আখীরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ, অধ্যায়ঃ শেষ জামানায় আত্মপ্রকাশকারী নেতা)

আবু বসির (রঃ) বলেন, জাফর সাদিক (রঃ) বলেছেন, মাহদীর আগমনের পূর্বে এমন একজন খলীফার আবির্ভাব ঘটবে যিনি হবেন মাতার দিক থেকে কাহতানী এবং পিতার দিক থেকে কুরাঈশী। তার নাম মাহদীর নামের সাথে কিছুটা সাদৃশ্যমান হবে এবং তার পিতার নামও কিছুটা মাহদীর পিতার নামের সাদৃশ্যমান হবে। *
-       (ইলমে তাছাউফ ১২৮ পৃঃ; তারিখে দিমাশাক ২৩২ পৃঃ)

-       * ইমাম মাহদীর আসল নাম হবে মুহাম্মাদ। আর মুহাম্মাদ এর সাথে মাহমুদ নামটি সাদৃশ্যপূর্ণ। তার পিতার নাম আব্দুল্লাহ এর সাথে আব্দুল কাদীর নামটি সাদৃশ্যপূর্ণ।

হযরত আনাস (রা:) বলেন, একদা রসূল এর এক মজলিসে আমি আর বিলাল (রা:) বসা ছিলাম। সে সময়ে আল্লাহর রসূল বিলাল (রা:) এর কাঁধে তার ডান হাত রেখে বললেন, "হে বিলাল! তুমি কি জানো? তোমার বংশে আল্লাহ এক উজ্জল তারকার জন্ম দিবেন, যে হবে সে সময়ের সবচেয়ে সৌভাগ্যবান ব্যক্তি। অবশ্যই সে একজন ইমামের সহচর হবে।" রাবি বলেন, সম্ভবত রসূল বলেছেন, সেই ইমামের আগমন ইমাম মাহদীর পূর্বেই ঘটবে।
-       (আসারুস সুনান ৩২৪৮; আখীরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ, অধ্যায়ঃ শেষ জামানায় আত্মপ্রকাশকারী নেতা, পৃষ্ঠাঃ ৩০ যাতে রাবি বলেন... এই উক্তিটি নেই)

সাহল ইবনু সা'দ (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূল বলেছেন, অচিরেই পূর্ব দিকে এক ফিতনার সৃষ্টি হবে (দ্বিতীয় কারবালা)। আর তা হবে মুশরিকদের দ্বারা। তখন মুমিনদের একটি দল তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বিজয় আনবে। আর তাদের সেনাপতি হবে ঐ সময়ের সবচেয়ে সৌভাগ্যবান ব্যক্তি সাহেবে কিরান! আর তাদের পরিচালনা করবে একজন ইমাম। যার নাম হবে মাহমুদ। অবশ্যই তারা মাহদীর আগমন বার্তা নিয়ে আসবে।
-       (তারিখুল বাগদাদ ১২২৯)

আবু হুরায়রা (রা:) বলেন, আমি রসূল কে বলতে শুনেছি, অদূর ভবিষ্যতে হিন্দুস্তানের মুশরিকরা মুসলিমদের উপরে খুবই অত্যাচার করবে। সে সময়ে হিন্দুস্তানের পূর্ব অঞ্চল হতে একটি মুসলিম জামাতের প্রকাশ ঘটবে। যাদের পরিচালনা করবে একজন দুর্বল বালক। যার নাম হবে মাহমুদ, উপাধি নাম হবে হাবীবুল্লাহ। তিনি হিন্দুস্তান বিজয়ের পর কাবার দিকে ধাবিত হবে। আমি (আবু হুরায়রা) জিজ্ঞেস করলাম, "হে আল্লাহর রসূল , সে কাবার দিকে ধাবিত হবে কেন? সেই সময় কি বাইতুল্লাহ ইহুদী-খ্রিষ্টানদের দখলে থাকবে?" তিনি বলেন, না। বরং সে আল্লাহর খলীফা মাহদীর হাতে বাইয়াত নিতে আসবে।
-   (আখীরুজ্জামানা আল মাহদী ফিল আলামাতিল কিয়ামাহ, অধ্যায়ঃ গাজওয়াতুল হিন্দ, ২৩১; কিতাবুল আক্বিব ১২৫৬; ক্বাশ্ফুল কুফা ৭৩২; আল আরিফুল ফিল ফিতান ১৭০৩)

হযরত হাম্মাম (রহিঃ) বলেন, আমি আবু হুরাইরা (রা:) কে বলতে শুনেছি কেয়ামত সংঘটিত হবেই। অবশ্যই অবশ্যই তার পূর্বে খলীফা মাহাদীর প্রকাশ ঘটবে। তবে তারও পূর্বে এক সৌভাগ্যবান ব্যক্তির প্রকাশ হবে। যার নাম হবে শামীম ইবন্ মূখলিস। সে হবে পিতার দিক থেকে বিলাল ইবনে বারাহ (হাবশী) এর বংশধর। আর মায়ের দিক হতে খলীফা আবু বকরের (কুরাঈশী) বংশধর। অবশ্যই সে একজন ইমামের (মাহমুদ) সহচর হবে।
-       (ইলা উম্মাতি মুহাম্মাদিন জামানুন ফিতানা ১০৩; জামানুন আখীরা আল খুলাফা, ইমাম হাজিম রহি, ৭৮; এবং কিতাবুল আকিবেও এই হাদিসটি রয়েছে)

দরিদ্র পীড়িত তালোকান অঞ্চল (আফগানিস্তানের উত্তর পূর্বাঞ্চল) সেখানে স্বর্ন, রৌপ্যের খনি নেই কিন্তু আল্লাহ্‌র রহমত দ্বারা পরিপূর্ণ। তারাই আল্লাহর রহমত দ্বারা স্বীকৃত, শেষ জামানায় তারাই হবে ইমাম মাহদীর সহযোগী।
-       (লেখকঃ আল মুত্তাকী আল হিন্দিঃ আল বুরহান ফি আলামত আল মাহদী ফি আখীরুজ্জামান)

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে হারিস (রা:) থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ বলেন, পূর্বদিক থেকে কিছু লোক বের হয়ে আসবে, যারা ইমাম মাহদীর খিলাফত প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠা সহজ করে দিবে।

অন্য অনুবাদে এসেছে- প্রাচ্য দেশ থেকে কতক লোকের উত্থান হবে এবং তারা মাহ্দীর রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত করবে।
-       (যঈফ, সহীহুল মুসলিম, খণ্ড ৩, হাদিস নং ২৮৯৬; সুনানে ইবনে মাজা, খণ্ড ৩, তাঃ পাঃ ৪০৮৮; যইফাহ ৪৮২৬, যইফ আল-জামি' ৬৪২১)

-       এ বিষয়ে সহীহ হাদিসও থাকায় এটিকে গ্রহণ করা যেতে পারে।

ইয়েমেন থেকে আত্মপ্রকাশকারী/সাহায্যকারী দল

ইমাম মানসূর (মানসূর ইয়েমেনী) ও তার সহচর হারিস ইবনু হাররাস সেখান থেকে আত্মপ্রকাশ করবেন এবং তারা ইয়েমেন বিজয় করবেন। এরপর তারা ও শুয়াইব ইবনে সালেহ এর দল একত্রে সুফিয়ানীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে কিন্তু সুফিয়ানীর সাথে বড় এক যুদ্ধে তার দল পরাজিত হবে এবং ইমাম মানসূর সেখান থেকে পালিয়ে আরবে ইমাম মাহদীর সাহায্যার্থে গমন করবেন ও শুয়াইব ইবনে সালেহ তার দল নিয়ে বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে রওনা হবেন। তাদের ব্যাপারে হাদিসে এসেছে-

আবূ ইসহাক (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আলী (রা:) বলেছেন, আর তিনি তার ছেলে হাসানের প্রতি দৃষ্টিপাত করে বলেছেন, নিশ্চয়ই আমার এই ছেলেকে নবী যেরূপ নেতা আখ্যায়িত করেছেন, অচিরেই তার বংশ থেকে জনৈক ব্যক্তি আবির্ভূত হবে। তোমাদের নবী -এর নামে তার নাম হবে, স্বভাব-চরিত্রে তাঁর মতো; কিন্তু গঠন আকৃতি অনুরূপ হবে না। অতঃপর ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, সে পৃথিবীকে ন্যায় বিচারে ভরে দিবে।

হারূন (রহঃ) বলেন, আমর ইবনু আবূ কায়িস পর্যায়ক্রমে মুতাররিফ ইবনু তারিফ, হাসান ও হিলাল ইবনু আমর থেকে বর্ণনা করে বলেন, আমি আলী রাঃ-কে বলতে শুনেছি, নবী বলেছেনঃ নদীর পিছন দিক থেকে জনৈক ব্যক্তি আবির্ভূত হবে। তাকে হারিস ইবনু হাররাস বলে ডাকা হবে। তার আগে জনৈক ব্যক্তি আসবেন, যার নাম হবে মানসূর। তিনি মুহাম্মাদ -এর পরিজনকে (ইমাম মাহদীকে) আশ্রয় দিবেন, যেরূপ কুরাইশরা রসূলুল্লাহ -কে স্থান দিয়েছিল। সুতরাং প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য হবে তার সাহায্যে এগিয়ে আসা, তার ডাকে সাড়া দেয়া।
-       (যঈফ, সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত/ আলবানী একাঃ) ৪২৯০ [ইঃ ফাঃ ৪২৪০])

আলী (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ বলেছেন: (শেষ যামানায়) নহরের ঐ প্রান্ত (তথা বুখারা ও সমরকন্দ প্রভৃতি স্থান) থেকে এক ব্যক্তির আগমন ঘটবে, যিনি হারিসে হাররাস নামে পরিচিত হবেন। তার সম্মুখভাগে মানসূর নামে এক ব্যক্তি থাকবেন (মানসূর তার নেতা হবেন)। তিনি মুহাম্মাদ -এর পরিবার-পরিজনকে (ইমাম মাহদীকে) এমনভাবে (খেলাফত বিষয়ে) আশ্রয় দান করবেন যেমনভাবে কুরায়শগণ আশ্রয় দিয়েছিল রসূলুল্লাহ -কে। তখন সমস্ত ঈমানদারের ওপর তাকে (মানসূরকে) সাহায্য করা কিংবা তিনি বলেছেন, তার ডাকে সাড়া দেয়া ওয়াজিব হয়ে যাবে। *
-       (যঈফ, মিশকাত হাঃ একাঃ ৫৪৫৮; য'ঈফুল জামি ৬৪১৮; যঈফ কারণ আবু ইসহাক মাজহুল)
-       * ইমাম মানসূর ও হারিস ইবনু হাররাস এর ব্যাপারে অন্যান্য কিতাবে অনেক সহীহ ও যঈফ হাদিস এসেছে। তিনি মাহদীর খিলাফত প্রতিষ্ঠায় অন্যতম সাহায্যকারী এবং এ কারণে তাকে সাহায্য করা এবং তার আহবানে সারা দেওয়াই হবে উচিৎ কাজ। যঈফ হওয়া সত্যেও এর বর্ণনা সহীহ এর সাথে মিলে যাওয়ায় এটি গ্রহণযোগ্য।

আবু হুরাইরাহ্ (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী বলেছেন, কিয়ামত সংঘটিত হবে না যে পর্যন্ত কাহতান গোত্র হতে এমন এক ব্যক্তির আগমন না হবে, যে মানুষ জাতিকে তার লাঠির সাহায্যে পরিচালিত করবে।
-       (সহীহ, সহীহুল বুখারী, পর্ব ৬১, অধ্যায় ৭, হাঃ ৩৫১৭; সহীহুল মুসলিম, পর্ব ৫২, অধ্যায় ১৮, হাঃ ২৯১০ [হাঃ একাঃ ৭২০০-(৬০/২৯১০); ইঃ ফাঃ ৭০৪৪; ইঃ সেঃ ৭১০০]; আল-লুলু ওয়াল মারজান ১৮৪৪; মুসনাদে আহমাদ ৯৩৯৫; মুসনাদে বাযযার ৮১৬১; সহীহুল জামি' ৭৪২৫)

শুয়াইব ইবনে সালেহ

হযরত মুহাম্মাদ ইবনে হানাফিয়া হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন বনু আব্বাসের একটি কালো ঝান্ডা বের হবে (৭৫০-১২৫৮ সাল পর্যন্ত তারা ক্ষমতায় ছিল)। অতঃপর খোরাসান থেকে আরেকটি কালো ঝান্ডা বের হবে। তাদের টুপি হবে কালো। তাদের পোষাক হবে সাদা রং এর। তাদের সম্মুখে একজন লোক থাকবে যাকে শুয়াইব ইবনে সালেহ অথবা সালেহ ইবনে শুয়াইব ডাকা হবে। সে হবে তামিম গোত্রের। তারা সুফিয়ানীর সৈন্যদের পরাজিত করবে। এমনকি তারা বাইতুল মুকাদ্দাসে অবস্থান নিবে। তারা মাহদীর রাজত্বের জন্য পথ সহজ ও প্রস্তুত করবে। আর সিরিয়া হতে তিনশত লোক তার সাথে মিলিত হবে। তার বের হওয়া ও মাহদীর নিকট বিষয় (নেতৃত্ব) সমর্পণ করার মধ্যে বাহাত্তর মাসের ব্যবধান হবে।
-       (যঈফ, আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮৯৪)

হযরত সুফিয়ান কালবী (রা:) হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন মাহদীর পতাকা তলে এক যুবক বের হবে। অল্প বয়সের। পাতলা দাড়ি বিশিষ্ট। হলুদ বর্ণের। আর হযরত ওয়ালীদ তার হাদীসের মধ্যে আসফার (হলুদ বর্ণের হওয়া) উল্লেখ করেন নাই। যদি সে পাহাড়ের সম্মুখিন হয়ে তাহলে পাহাড়কেও কাঁপিয়েদিবে। আর হযরত ওয়ালিদ বলেন তা ভেঙ্গে ফেলবে। এমনকি সে ঈলাতে (বাইতুল মুকাদ্দাসে) অবতরণ করবে।
-       (আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ১০৭১ [পথিক প্রকা: ১০৬৮; তাহকীক: যঈফ])

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ