সার কথা

        এই বইটি সেই সকল মানুষদের জন্য যারা দুনিয়াবী বিভিন্ন ফেতনায় জড়িত কিন্তু ফিতনা সম্পর্কে বা বাস্তবতা সম্পর্কে কোন জ্ঞান রাখে না। কোন ঘটনা ঘটলেই তারা মনে করে এটি স্বাভাবিক কিন্তু প্রত্যেকটি বড় ঘটনার পিছনে আল্লাহ তায়ালা রহস্য রেখে দিয়েছেন। মহানবী ﷺ এর বর্ণিত বিভিন্ন ভবিষ্যৎবাণীর সাথে এই জামানার ঘটনাগুলো মিলে যাচ্ছে। তিনি জানতেন কেয়ামত পর্যন্ত পৃথিবীতে কি কি ঘটনা ঘটবে। অবশ্যই তা আল্লাহই জানিয়েছেন। তিনি ﷺ সাহাবীদেরকেও সেগুলো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করে গেছেন যে কখন ফিতনা দেখা দিবে আবার কখন তা দূরীভূত হবে।

হুযাইফাহ (রা:) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ ﷺ আমাদের সম্মুখে দাঁড়িয়ে কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু ঘটবে সেসবের বর্ণনা দিলেন। কেউ তা মনে রাখলো এবং কেউ তা ভুলে গেলো। আমার এসব সাথী তা অবহিত আছে যে, ঐ সবের কিছু ঘটলেই আমি তা এরূপ স্মরণ করতে পারি যেরূপ কেউ তার পরিচিত লোকের অনুপস্থিতিতে তার চেহারা স্মরণ রাখে। অতঃপর তাকে দেখা মাত্র চিনে ফেলে।
-    (সহীহ, সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত/ আলবানী একাঃ) ৪২৪০ [ইঃ ফাঃ ৪১৯২]; বুখারী; মুসলিম)

ফিতনার ব্যাপারে যেমন বলেছেন তেমনি তা থেকে বাঁচার উপায়ও বলে গেছেন। তারপরও যেসব বিষয়ে যুগে যুগে মতবিরোধ ছিল (যেমন বিভিন্ন ফিরকা-ফিতনা) সেগুলো বিভিন্ন সময় আল্লাহর মনোনীত বান্দাগণ, মুজাদ্দিদগণ, ইমামগণ, হেদায়েতপ্রাপ্ত হকপন্থী আলিমগণ সেই মতবিরোধ দূর করার চেষ্টা করেছেন ও ঐক্য গড়ে তুলেছেন। ফিতনা সম্পর্কে জানানো ও তা থেকে বেঁচে থাকার উপকরণের প্রেক্ষিতে বর্তমান সময় থেকে আগামীতে ঘটিতব্য প্রায় সকল ছোট-বড় উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো-ভবিষ্যৎবানীগুলো যা কুরআন-হাদিস থেকে পাওয়া যায় তা পর্যায়ক্রমিক ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে এই বইটিতে। যাতে ঘটিতব্য ফিতনাগুলো আরো ভালোভাবে আমরা চিহ্নিত করতে পারি।

        বইটিতে পাবেন আপনি সত্যের ছোঁয়া। বইটি আপনাকে অন্ধবিশ্বাস থেকে আলোর পথে নিয়ে আসবে ইনশাআল্লাহ। মুসলিম উম্মাহকে ফিতনা সম্পর্কে অবগত করানোর জন্যই এই প্রচেষ্টা। কারণ ফিতনা সম্পর্কে জানতে পারলে তা থেকে সে বাঁচতেও পারবে। যেমনটা হাদিসে এসেছে-

হযরত হুযাইফা (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এই ফিতনা গরুর ন্যায় (অর্থাৎ দেখতে সব একই রকম)। তাতে বহু মানুষ ধ্বংস হবে। তবে যারা পূর্বেই এ সম্পর্কে অবগতি লাভ করবে তারা ধ্বংস হবে না।
-    (আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৫ [পথিক প্রকা: ৫, তাহকীক: সহীহ]; মা’লুমাতির রেওয়ায়াহ ২৩২৪)


 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ